২০২০ সালে আইপিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিহারের আইপিএস অফিসার হন পাঞ্জাবের মেয়ে নভজোৎ সিমি (Navjot Simi)। এর আগে তিনি পিসিএস (পঞ্জাব সিভিল সার্ভিস) অফিসার ছিলেন।
পাঞ্জাবের একটি তপশিলি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই মহিলা। বাবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অফিসার ছিলেন আর মা হাউস ওয়াইফ।
তপশিলি পরিবারে জন্মানোর জন্য অনেক মানুষের কাছ থেকে ছোট থেকেই কথা শুনে তাঁর বড় হওয়া। এই সমস্ত কথা শোনার জন্যই তাঁর মনে জেদ তৈরি হয়েছিল যে তাঁকে সরকারি উচ্চ পদস্থ অফিসারের পোস্টে চাকরী করতেই হবে।
ছোট থেকে তিনি পাঞ্জাবের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেন তারপর ডেন্টালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বিডিএস পড়েছিলেন লুধিয়ানার বাবা যশবন্ত সিংহ ডেন্টাল কলেজে।বিডিএস পাশ করার পর তিনি ডাক্তারি করতে থাকেন। ডাক্তারি করলেও তাঁর স্বপ্ন ছিল আইপিএস অফিসার হওয়ার।
পরীক্ষার জন্য জোরদারভাবে প্রস্তুতি চালাতে থাকেন। ২০১৬ সালে তিনি প্রথমে পিসিএস (পঞ্জাব সিভিল সার্ভিস) অফিসার হন। তার পরের বছর তিনি আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করেন। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে তাঁর স্থান হয়েছিল ৭৩৪ নম্বরে। এখন তিনি পাটনায় চাকরি করেন।
সম্প্রতি নভজোৎকে নিয়ে মিডিয়ার পাতায় জোর চর্চার সৃষ্টি হয়েছে। নভজোৎ যার প্রেমে পড়েছেন তিনিও একজন আইএএস অফিসার। ২০১৫ সালের ব্যাচ। নাম তুষার সিঙ্গলার।
এই আইএএস অফিসারটি পশ্চিমবঙ্গের চাকরি করেন। ভ্যালেন্টাইন ডে-র দিন নভজোৎ ৫৬৫ কিমি রাস্তা পাড় হয়ে পটনা থেকে তিনি উলুবে়ড়িয়ায় পৌঁছে গেছিলেন। কাজের চাপে তাঁদের ভালোবাসা সেই ভাবে পরিণতি পাচ্ছিল না।
সম্প্রতি তাঁরা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে বিবাহ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পর্ব শেষ হলে তাঁরা ধুমধাম করে বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠান করবেন।