১৯ দিন পর ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে প্রথম একটি হেলিকপ্টারটি উড়বে। ইনজেনুইটি নাম তার৷ এই হেলকপ্টারের মূল কর্ণধার চিফ ইঞ্জিনিয়র জে বব বলরাম। তাই এখন নাসা বলরাম বলরাম করছে কারণ তার সাফল্যের ওপর সবটা নির্ভরশীল৷ মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্ন দেখেছেন বলরাম এবং অন্য দুই বঙ্গসন্তান। তাদের নাম অনুভব দত্ত এবং সৌম্য দত্ত। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক অনুভব। প্রায় সাড়ে ৩ দশক তাঁর এই পরিকল্পনার কথা প্রথম জানিয়েছিলেন একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে।
লাল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছনো মহাকাশযান থেকে মঙ্গলে নিরাপদে নামার জন্য একটি দৈত্যাকার প্যারাস্যুট বানানো হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত বর্ধমানের সৌম্য দত্ত। এখন ভার্জিনিয়ায় নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়র।
বলরাম বেঙ্গালুরুতে থাকতেন৷ ৩৬ বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন নাসা-য়। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ইনজেনুইটি। মঙ্গলের হেলিকপ্টার।আর ঠিক ১৯ দিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে নাসার ল্যান্ডার। তার পরেই লাল গ্রহে ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে পড়বে রোভার ‘পারসিভের্যান্স’। আকাশে উড়বে হেলিকপ্টার- ইনজেনুইটি। হেলিকপ্টার এর সঙ্গে নাসার যে রোভার পৃথিবী থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল গত ৩০ জুলাই।
হেলিকপ্টারের ওজন ১.৮ কিলোগ্রাম (৪ পাউন্ড)। এর মাথার উপরে রয়েছে দু’টি ব্লেড বা রোটর। প্রত্যেকটির ব্যাস ৪ ফুট বা ১.২ মিটার।
রোভার পারসিভের্যান্স মঙ্গলের ‘জেজেরো ক্রেটারে’ পা ছোঁয়ানোর ৭৫ দিন পর তার থেকে বেরিয়ে আসবে বলরামের হাতে গড়া হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। তার পর এক মাসে মোট ৫ বার ৯০ সেকেণ্ড করে মঙ্গলের আকাশে উড়বে এই হেলিকপ্টার। লাল গ্রহের পিঠ থেকে তা উড়বে সর্বাধিক ১০০ মিটার উচ্চতায়।
কিন্তু যেখানে বায়ুই নেই প্রায়, কী ভাবে উড়বে হেলিকপ্টার?
BSNL-এর দুর্দান্ত প্ল্যান!মিলছে 500 টাকার ও কম মূল্যে 135GB ডেটা সহ আনলিমিটেড কলের সুবিধা
বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীতে ১ লক্ষ ফুট বা সাড়ে ৩০ হাজার মিটার উঁচুতে ওড়া আর মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ওড়াটা কার্যত এক৷ কিন্তু পৃথিবীতে তো হেলিকপ্টার ওড়ে তার ৭ ভাগের এক ভাগ উচ্চতা পর্যন্ত। তার বেশি উচ্চতায় পৃথিবীতে হেলিকপ্টার ওড়ানোর প্রযুক্তি জানা নেই৷ মঙ্গলের হেলিকপ্টারের কয়েক কিলোগ্রাম ওজনও থাকতে হবে। ভারী ব্যাটারি থাকবে। থাকবে যোগাযোগের জন্য রেডিও। তাহলে এত ওজন নিয়ে উড়বে কীভাবে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলরামের সামনে। ভ্যাকুয়াম চেম্বার আর জেপিএল-এ ২৫ ফুট লম্বা স্পেস সিম্যুলেশন চেম্বারে পরীক্ষানিরীক্ষায় উতরে গিয়েছে বলরামের এই স্বপ্নের হেলিকপ্টার। তাই ২০২০ এর সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পাঠানো হয় মঙ্গল অভিযানে।