গতকাল লক্ষ্য করা যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পেশ করার আগে বক্তব্য রাখার সময় তার বিরুদ্ধে অনেক তুমুল হৈচৈ শুরু করে দেন বিরোধীরা, এই বিলের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদল গুলিও। অন্যদিকে বিরোধীদের এই তুমুল হট্টগোলের জেরে বিলটি পেশ করার আগেই অমিত শাহ বলেন আগে বিলটি পেশ করা হোক তারপর আপনারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করবেন। এরই সাথে তিনি আরো বলেন এই নাগরিকত্ব বিলটি 1 শতাংশ সংখ্যালঘু বিরোধী নয়।
অন্যদিকে এই বিলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ও এদিন বলে উঠেন দেশের সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন সংশোধনী বিল। এরই সাথে এই বিলের বিরোধিতা করতে দেখতে পাওয়া যায় আর এস পি সংসদ এনকে প্রেম চন্দন কেউ তিনি বলেন দেশের সংবিধানে আঘাত আনার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই বিল।ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে যদি দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাহলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর ওপর এটা একটা বড় আঘাত হানার মতো ব্যাপার।
এরই সাথে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ কংগ্রেস ও মিম এই বিলের বিরোধিতা করতে থাকেন। তবে এসব তুমুল হট্টগোলের ঘটনা এখন অতীত , গতকাল রাতে পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। প্রায় রাত বারোটা নাগাদ পাশ হয়েছে এই বিল।বিলটি পাস হওয়ার পরই অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলটি পাস হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে টুইট করে সকল সংসদদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।তিনি বলেন ভারতীয়দের মানুষকে আপন করে নেওয়ার যে শত বছরের পুরনো প্রথা চলে আসছে সেটা আরও একবার সামনে এল এর মাধ্যমে।
Delighted that the Lok Sabha has passed the Citizenship (Amendment) Bill, 2019 after a rich and extensive debate. I thank the various MPs and parties that supported the Bill. This Bill is in line with India’s centuries old ethos of assimilation and belief in humanitarian values.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 9, 2019
এরই সাথে তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান যারা এই বিলটি সমর্থনের জন্য এগিয়ে এসেছেন অর্থাৎ যে সব সংসদ ও যেসব দল এই বিলের জন্য সমর্থন জানিয়েছেন এই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে। গতকাল সকাল থেকেই এই বিলটিকে নিয়ে লোকসভায় বারবার প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীদলগুলো যেখানে সকলেই এই বিলটিকে ধর্ম বিরোধী বিল বলে নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এই অভিযোগ তুলে ছিঁড়ে ফেলেন বিলের কাগজ। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি কেন এত ঘৃণা আপনাদের?’ তিনি আরও বলেন সিটিজেনশিপ সংশোধনী বিল অভিসন্ধি করেই মুসলিম অভিবাসীদের দেশহীন করতে চাইছে।
এই আইন হিটলারের আইনের থেকেও খারাপ। মুসলিমদের অধীনস্থ করে রাখা হচ্ছে”।এছাড়া তিনি আরও বলেন যে এই বিলের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে পাল্টামন্তব্য দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান কোনোভাবেই এই বিলটি মুসলমানদের উপর প্রভাব ফেলবে না এবং ভারতে বসবাসকারী মুসলিমের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারবেন এই দেশেই, তিনি বলেন বিধি তৈরি করার জন্য এই বিলটি আনা হয়নি।