লোকসভা নির্বাচন আর সময় নেই বললেই চলে হাতে গোনা মাত্র এক থেকে দু মাসের মতো বাকি রয়েছে নির্বাচনে। সকল পার্টির কার্য কর্তারা তাদের প্রচার কাজে ব্যাস্ত। লোকসভা নির্বাচন যত সামনে আসছে মোদির গলায় জোর আরও বাড়ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য দলগুলোর মত মোদীও তাঁর নিজের কাজে নেমে পড়েছে। সারদা কান্ডে জড়িত রাজীব কুমার কে জেরা করতে গিয়ে সিবিআইকে হেনস্থার হতে হয় রাজ্য পুলিশ দ্বারা । রাজীব কুমার কে জেরা করতে আসার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেন। এই ঘটনার জেরে মোদী তৃণমূল কে উদ্দেশ্য করে কড়া বার্তা দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোদী বলেছেন, হাজার হাজার গরিব মানুষের যারা টাকা লুটেছে, তাদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসেছেন।
গরীবের টাকা মারা ব্যক্তিদের জন্য দিনে দুপুরে ধর্নায় বসে যাচ্ছেন। যারা গরীবের টাকা মেরেছে তাদের দিদি বাঁচানোর চেষ্টা করছে। মোদী আরও বলেন, বিদেশে জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এছাড়াও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সমস্ত ভারতীয়দের একজোট করে আন্দোলনে নেমেছিলেন। আর আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি গরিবদের খেটে রোজগার করা টাকা যারা লুটেছে তাদের বাঁচানোর জন্য ধর্না দিচ্ছেন। এই ঘটনা প্রথমবার দেখা যাচ্ছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা প্রশ্ন করছে, সারদা কাণ্ডে যাদের টাকা গেছে তারা প্রশ্ন করছে, দুর্নীতি তদন্তে আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন? যখন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে আপনি ধর্না দিচ্ছেন কেন। সারদা কাণ্ডে তদন্তে গাফিলতি কেন করা হচ্ছে। সারদা, নারদা, রোজভ্যালির প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারকে জানিয়ে দিতে চাই, গরিব মানুষের টাকা যারা মেরেছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।
যতই নেতা- নেত্রীদের নিয়ে ধর্নায় বসুক না কেনো, সমস্ত অপরাধের পায় পায় করে হিসাব নেবো। আপনাদের পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের জন্য বিচার ব্যবস্থা করবে সরকার। কলকাতায় দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্নীতির মদদ দাতাদের বাঁচাতে ওই ধর্নার মঞ্চ করা হয়েছিল। এভাবে দিদি ওদের কতদিন বাঁচাতে পারবেন? দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বাঁচাতে আর কোথায় কোথায় ধর্না দেবেন ? বর্তমানে দুর্নীতিগ্রস্তদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এরা। যারা গরিবদের টাকা লুটেছে, প্রতিরক্ষা দালালদের বিদেশ থেকে তুলে এনেছি। অপরাধীদের কখনো ছাড়বে না মোদী, এটা সমস্ত দলগুলিকে বলে রাখি। ধর্না করে দিদি ওদের বাঁচাতে পারবে না, এই কথাটি ভালো করে শুনে রাখুন।