ভোটের আগে মোদি সরকার এর জন্য একটা সুখবর এলো। গোটা বিশ্বে যখন অন্যান্য সরকারগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার গ্রাফ ধীরে ধীরে নিচে নামছে ঠিক সেই সময়ই মোদি সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতার গ্রাফ উপরে উঠলো। এমনই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টে বলা হয়েছে। ওই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিনদিন মোদি সরকারের উপর বিশ্বাস বাড়ছে ভারতবাসীর। এছাড়াও সাধারণ মানুষ মনে করে আগামী পাঁচ বছরে তাদের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে যদি মোদি সরকার ক্ষমতায় থাকে। প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের প্রায় 72 শতাংশ মানুষ এখনো পর্যন্ত সরকারি সংস্থা গুলির উপর বিশ্বাস রাখে। সি বি আই,আর বি আই এবং সুপ্রিম কোর্টের এত কড়া পদক্ষেপের পরেও এই পরিসংখ্যান বেশ অবাক করে দেয়।
সরকারের কাজ – কর্মের উপরও দিন দিন ভারতবাসীর বিশ্বাস বাড়ছে। এখন 72 শতাংশ থেকে 74 শতাংশতে দাঁড়িয়েছে। গত বছর এই সংখ্যাটির 70 এ ছিলো। তবে এই পরিসংখ্যান নতুন কিছু নয় বলে মনে করছেন এই সংস্থাটি। প্রতি বারের মতন সরকারের ওপর বিশ্বাস যোগ্যতা 70% থাকে সাধারণ মানুষদের। ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ঘরে 72 থাকে। মোদি সরকার এ সংখ্যাটিকে দুই ধাপ বাড়িয়ে নিল। এই পরিসংখ্যান বলছে এই বিশ্বাস যোগ্যতার উপর ভর করে মোদি সরকার গোটা বিশ্বে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এই খবর মোদি সরকার কে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। ভারতের উপরে রয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং চিন। তবে এই সংস্থার রিপোর্টে জনপ্রিয়তার দিক থেকে ভারত পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে।
এতে মোদি সরকার এর উপরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া এবং চিন। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতবাসী সার্বিকভাবে আশাবাদী। ভারত বাসিরা আশা করছেন আগামী পাঁচ বছরে তাদের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে বেশকিছু বেসরকারি সংস্থারো জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থার ও জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।গত বেশ কয়েকটি নির্বাচন- উপনির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়েছে বাকি দলগুলির কাছে। তারা দাবি করেছিলেন মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা কমছে তাই বিজেপি সরকার খুব চাপে ছিল। কিন্তু এই সংস্থার রিপোর্ট বিজেপিকে কিছুটা স্বস্তি দেবে এটা বলা বাঞ্ছনীয়।