Skip to content

বড় খবর: নিজের মূর্তি গড়ে বিপাকে মায়াবতী, ৬০০০ কোটি টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের…

লোকসভা নির্বাচনের মুখে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ধাক্কায় ফের চাপে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আজ মায়াবতী কে বড় ঝটকা দিয়ে দিয়েছে।এর প্রধান কারণ হলো মায়াবতীকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার কে ফেরত দিতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি, মায়াবতী যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন সেই সময় উনি নিজের ও বসপার নির্বাচনী চিহ্ন হাতির অনেক মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। আরো আপনাদের বলে রাখি সৌন্দর্য করণের নামে নিজের ও হাতির মূর্তি বানিয়ে তিনি প্রচার চালাতেন। আর এই মূর্তি তৈরি করতে মোট ছয় হাজার কোটি টাকা সরকারি খাজানা থেকে বের করেছিলেন মায়াবতী।

সরকারের টাকা এরকমভাবে নির্বাচনের প্রচার কার্যে ব্যবহার করার কোন নিয়ম নেই, দ্বিতীয়তঃ যদি মূর্তি নির্মাণের জন্য 5 লক্ষ টাকা খরচ হত তাহলে সরকারের খাজানা থেকে বের করা হতো তবে কোনো প্রভাব পড়তো না সরকারের রাজকোষে, কিন্তু 60 লক্ষ টাকা এইভাবে মূর্তি নির্মাণের জন্য খরচ করা মোটেও সুবিধার নজরে দেখছে না দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধী পার্টি দের দাবি এভাবে প্রচুর পরিমাণ টাকা দুর্নীতি করে লুটেপুটে খেয়ে নিয়েছে মায়াবতীর সরকার। আর এই টাকার জোরেই মায়াবতী ও তার আত্মীয় পরিবার আজ বহু কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে রয়েছে। যেমন কি মায়াবতী নিজেকে গরিব দলিত নেত্রী হিসাবে বরাবরই পরিচয় দিতেন কিন্তু মায়াবতীর ভাই আজ আরবপটি, মায়াবতী তিনি নিজেও আজ আরবপতি অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের দলিতা সেই গরীবই রয়ে গেছে।

2009 সালে মায়াবতীর এই মূর্তি তৈরি নিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ খরচ হয়েছে অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন এক আইনজীবী । আর আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে লখনও , নয়ডা মায়াবতী নিজের ও দলীয় প্রতীক হাতির অসংখ্য মূর্তি করেছেন সেই টাকা সাধারণ মানুষের আর সেই টাকা তাকে ফেরত দিতে হবে। তাই নির্বাচনের খরচ এর সঙ্গে এবার তার কোষাগার থেকে খসে যেতে চলেছে মোটা অংকের টাকা। এ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে বেঞ্চ আজ রায় দিয়েছে নিজের ও দলের প্রতীক মূর্তি গড়ে তোলার জন্য যে টাকা মায়াবতী খরচ করছেন তা তাকে ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট তার ফাইনাল রাই 2-ই এপ্রিল শোনাবে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই এই মন্তব্য মায়াবতী ও তার পার্টির ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে।

যদি এত পরিমান টাকা তাদেরকে মেটাতে হয় তাহলে তার যোগান কোথা থেকে পাবে তারা তা তাদের এখন চিন্তার বিষয়।কারণ আপনারা সকলেই জানেন এত পরিমাণ সাদা টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে নেই আবার যদি কালো টাকা দিয়ে তারা এই পরিমাণ অর্থ মেটাতে যায় তাহলে মধ্য প্রদেশের সরকার এর নতুন মামলায় ফেঁসে যেতে পারে মায়াবতীর সরকার।আর সব মিলিয়ে এটা বলা বাহুল্য যে মায়াবতী সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড় ঝাটকা পেয়ে গেছে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি এই ঘটনাটি 2009 সালের সুপ্রিম কোর্টে দায় করা হয়েছিল য়ার শুনানি হয়েছে আজ, অর্থাৎ এই ঘটনাটি মোদির আমলে নয়। তাহলে মায়াবতী কোন ভাবেই এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মোদি সরকারের ওপর অভিযোগ লাগাতে পারবে না।