আজ পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে ছিল নির্বাচন যেখানে সকাল থেকেই পরিস্থিতি চরম উত্তেজনার মধ্যে ছিল। এমনকি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুপুর 1 টা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এইদিন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র বয়ালে দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন বিজেপি তরফে বহিরাগত গুন্ডাবাহিনী এনে এলাকার মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, এমনকি সেই গুন্ডাবাহিনী তরফের সেখানকার ভোটারদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে এমনটাই তিনি অভিযোগ তোলেন। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন বয়ালের ৭ নং বুথে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট করা হচ্ছে বিজেপির তরফে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। কমিশনের দাবি বয়ালের এই ৭ নং বুথে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনও প্রকার বাধা পড়েনি। এবিষয়ে জেনারেল অবজারভার হেমেন দাসের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কমিশন জানায়, ওই বুথে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এমন কী এই বুথের বাইরে যে হাজার তিনেক মানুষ একত্রিত হয়েছিল, তাঁরাও পরবর্তী কালে সেখান থেকে চলে যায় আর নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন হয়।
#WATCH: West Bengal CM Mamata Banerjee speaks to Governor Jagdeep Dhankhar over the phone at a polling booth in Nandigram. She says, "…They didn't allow the local people to cast their vote. From morning I am campaigning…Now I am appealing to you, please see…" pic.twitter.com/mjsNQx38BB
— ANI (@ANI) April 1, 2021
আর তারপর যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান তখন সেখানে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তারপর এই বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন সেখানে এবং সাংবাদিকদের জানান, মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ’টি এনেছেন সেটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
এখানে ভোট পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে । বলে রাখি অন্যদিকে, বয়ালের ৭ নং বুথ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, তিনি বাইরে থেকে গুন্ডা এনে সাধারণ মানুষদের ভোট দিতে দিচ্ছেন না।
তবে অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বয়ালের ৭ নং বুথে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘণ্টা দেড়েক ঘেরাও হয়ে থাকার পরেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও প্রকার বাধা পড়েনি। এমন কী সকাল থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ওই বুথের ৯৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৭০২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। তাই এক প্রকার বলা যেতে পারে নির্বাচন কমিশনের এই রিপোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর জয় হয়েছে।