দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা, আর এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে কাবুতে আনা সম্ভব হয়ে উঠেনি। যেমনটা আমরা জানি তৃতীয় দফার যে লকডাউনটি জারি রয়েছে সেটি আগামী 17 ই মে শেষ হবার কথা রয়েছে তবে তারপর কী হবে সেই বিষয় নিয়ে গতকাল সোমবার দিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আর এই বৈঠকের মাধ্যমে বেরিয়ে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেখানে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লকডাউন এর সময়সীমাকে বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে, তবে শুধু পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী নয় তার সাথে আরও মোট চারটি রাজ্যে লকডাউনকে বাড়ানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীরা। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন লকডাউন এর সময়সীমাকে বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই করোনা সংক্রমণ রুখতে। তার পাশাপাশি এবিষয়ে একমত প্রকাশ পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীদেরও। তবে এখনো পর্যন্ত এই লকডাউনের সময়সীমাকে আর কতদিন পর্যন্ত বাড়ানো হবে সেই বিষয়ে কোন কিছু তথ্য জানা যায়নি। যদিও এর আগে ঘটে যাওয়া বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দেগেছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন আমাদের মতামতকে এই বৈঠকে গ্রাহ্য করা হয় না আর এই কঠিন সময়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে কেন্দ্র। এবার লকডাউন ও তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দের সাথে গতকাল আবারও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যে বৈঠকে যোগদান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে কেন্দ্রর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেননি তিনি। তাঁর মতে কিছু কিছু রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্র ‘স্ক্রিপ্ট’ অনুযায়ী কাজ করছে বলেই উল্লেখ করেন মমতা।যদিও এই ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছিল তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে সবকিছু খতিয়ে দেখেন, আর এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি জানান কেন্দ্রর তরফ থেকে এরকমভাবে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আগে রাজ্যের মতামত নেওয়া হল না কেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে মোদিজীর কাছে আবেদন জানান চলতি মাসে যেনো ট্রেন, বিমান পরিষেবা চালু করা না হয় তবে অন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির দাবি। যাতে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, কৃষি ক্ষেত্র, শপিং মল চালু করা হয় এতে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তিনি।আর সোমবার পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে সেখানে জানা গেছে গত রবিবার দিন দেশে করোনা সংক্রমণের হার ছিল সর্বাধিক। যেখানে এই মরন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন 4213 জন আর এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রেকর্ড এটি। তার পাশাপাশি বলে রাখি এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে এখনও সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপরেই এই তালিকাতে নাম রয়েছে গুজরাত, আর 3 নম্বরে জায়গা নিয়েছে রাজধানী দিল্লি।