Skip to content

ফের বিপুল লগ্নি!দু’চাকায় আবারো চাঙ্গা হবে বাংলার শিল্প ব্যবস্থা, মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

রাজ্যের সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যে সাইকেল কারখানা তৈরির ব্যাপারে যাতে শিল্পপতিরা উদ্যোগী হন, তার জন্য চিন্তা ভাবনা করতে বলেছেন।বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নবম এবং দশম শ্রেণীর প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হয় সাইকেল। “সবুজ সাথী” প্রকল্প ঘোষণা করার পর রাজ্যে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে।

এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে বিপুল পরিমানের সাইকেল বাইরে থেকে আনতে হয়। কিন্তু রাজ্যে যদি সাইকেল কারখানা তৈরি হয়,তাহলে রাজ্যের শিল্পপতিদের সুবিধা হবে বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যে সাইকেল কারখানা তৈরি করার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানালেন তিনি।

নবান্ন সূত্রে খবর, সাইকেল কারখানা থেকে যে সংখ্যক সাইকেল উৎপাদন হবে তার মধ্যে যে সংখ্যক সাইকেল রাজ্যের জন্য লাগবে, সেই সংখ্যক সাইকেল রাজ্য নেবে বাকিটা অন্যান্য সংস্থাতে বিক্রি করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংস্থা রাজ্য সাইকেল কারখানা তৈরি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিপুল পরিমাণে সাইকেলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য যদি রাজ্য সাইকেল কারখানা তৈরি করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যাবে অনেকটাই এবং বাইরে থেকে আমদানি করার যে বাড়তি খরচ সেটাও কমে যাবে। একদিকে রাজ্য সরকার যেমন সাইকেল কারখানা তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করছে, তেমনই অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্প পার্ক তৈরি করার চিন্তাভাবনা শুরু করে একাধিক জেলাগুলিকে বার্তা পাঠিয়েছে নবান্ন। ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর জন্য শিল্প পার্ক তৈরি করার চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য সরকার। এই পার্ক তৈরি করার জন্য নূন্যতম জমি লাগবে ৫ একর।

বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিবের তরফ থেকে রাজ্যের জেলা গুলিকে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে জেলা গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব কোন সংস্থার তরফ থেকে যদি আসে, তাহলে যেন ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প দফতরের প্রধান সচিবের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এইভাবে রাজ্যে শিল্প এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।