লোকসভা ভোটের পরেই কংগ্রেস ও সিপিএম এর মধ্যে জাতীয় স্তরে জোটের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সিপিএমের সঙ্গে লড়াই থাকলেও জাতীয় স্তরে যোগ করার জন্য তিনি রাজি। সারা রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের পর কি চিরশত্রু সিপিএম এবং তৃণমূলকে একসাথে মিলিয়ে দিতে পারবেন নরেন্দ্র মোদী? দিল্লিতে কেজরিওয়ালের ধর্না তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়ে বলেন, মোদিকে সরাতে গেলে সবাইকে একসাথে হয়ে লড়াই করতে হবে।সিপিএম,কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যে লড়াইটা হলেও জাতীয় স্তরে জোট করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। দেশ বাঁচাতে তিনি আত্ম ত্যাগ করতে রাজি বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, ” দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে বর্তমানে। নরেন্দ্র মোদী দেশ গড়তে পারে না, দেশ ভাঙতে পারে। দেশকে আমরা একজোট রাখতে চাই। রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিএম এর সাথে লড়াই করলেও জাতীয় স্তরে আমরা একসঙ্গে থাকবো। আমরা দেশের স্বার্থে নিজের জীবন দিতেও রাজি আছি। সাধারণ কর্মী হিসেবে নিশ্চিত করবো মোদী যাতে আর না আসে। মোদি হাটাও দেশ বাঁচাও। “দেশের জন্য লড়াই করার ক্ষমতা তৃণমূলের রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,” আমি অনেক আসনে লড়াই করতে পারি। কিন্তু ইচ্ছে করে করি না। যেখানে অন্য দল শক্তিশালী সেখানে ভোট বাটোয়ারা করবো না। রাজ্যে একাই লড়বো। যদিও কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম আমার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাজ্যে লড়বে। যদিও এসব আমার কাছে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। 42 এ 42 টি আসনই আমাদের ঝুলিতে আসবে। যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়বে।
উত্তর প্রদেশের সাপা-বসপা, আর দিল্লিতে আপ-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। অন্যদিকে ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে ওরা লড়াই করবে। আর দিল্লিতে সাতে সাত পেতে হবে আপকে।তৃণমূল নেত্রী এখানেই থামেননি তিনি আরও বলেন, ” আজই সংসদের শেষ দিন ছিল। এই সরকারের মেয়াদ আর মাত্র 20 দিন বাকি। সরকারের এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে। আর কাউকে ভয় দেখাতে পারবে না। মিডিয়ার মুখ বন্ধ করেছে, উনি কাউকে বিশ্বাস করেন না। তিনি মন্ত্রীদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। ব্যাপম কেলেঙ্কারি তে কত লোক কে মেরে দিয়েছে ওই সরকার। উত্তরপ্রদেশে কত পুলিশ মারা গেছে। আর আমাদের এখানে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এখানে তিনি পদক ফেরত নেওয়ার কথা বলছেন।
শুধু এখানেই থামেননি তিনি, এতটা সাহস যে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই ঢুকিয়ে দিল। অনেক সরকার দেখেছি কিন্তু এত নিম্নমানের সরকার কোনদিন দেখিনি। আমরা সবাই চোর আর আপনি সাধু? গান্ধীকেও অনুসরণ করে না এরা। ওই দুটো গব্বর আছে। এদের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। ”
এই বিষয়ে আপনাদের কি মতামত তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আরো এরকম নতুন নতুন খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টালটি তে।