আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি একটি সুখবর। গ্রামে গঞ্জে শহরে বেকারত্ব বাড়তে থাকার ফলে রাজ্যে জিডিপির হার কমে যাচ্ছে , আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী কলেজের পাস আউট ছাত্রদের জন্য নিয়ে চলে এসেছেন এক বিরাট সুযোগ । মাইনে যদিও অনেকটাই কম দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা কিন্তু কলেজ থেকে এবার পাশ করে পেয়ে যাবেন গ্রামে-গঞ্জে স্কুলের শিক্ষকের চাকরি। ঘোষণা করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে এ বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই বিষয়ের কথা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরলেন ।
ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুন্দরবন, ঝাড়গ্রাম সহ অনেক গ্রামাঞ্চলে শিক্ষক মেলে না। শুধু তাই নয় এসব অঞ্চলে বেকারত্ব সংখ্যা অন্যান্য শহরে তুলনায় অনেকগুণ বেশি। তাই বেকারত্বকে ঘোচানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষানিবেশ শিক্ষক (ইন্টার্ন) যোগ করা হবে গ্রামে গঞ্জের এলাকা গুলিতে”। এছাড়াও তিনি বলে জানান, প্রাথমিক স্কুলের যে সব শিক্ষকদের মাসিক বেতন হবে দু’হাজার টাকা এবং মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকেরা পাবেন আড়াই হাজার টাকা। আর এই পদের জন্য ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে।অর্থাৎ কলেজ শেষ হতে না হতেই চাকরি।বর্তমানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত হলো প্রাথমিক বিভাগ। যদিও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পনা করছেন , ভবিষ্যতে মাধ্যমিক বিভাগের চাপ কমানোর জন্য পঞ্চম শ্রেণীকেও প্রাথমিক বিভাগে ঢোকানোর।
সেই দিন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রেগে গিয়ে সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে প্রশ্ন করলেন , “কোথাও স্কুল দেখা যাচ্ছে তো সেখানে শিক্ষকের অভাব, আবার কোথাও স্কুল নেই সেখানে অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছে,” এটা কেন হবে ?
এই প্রশ্নের উত্তর শিক্ষা মন্ত্রী দেওয়ার চেষ্টা করলেও মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন , ‘আমি ও সব বুঝিনা’ । শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রান্সফার নিয়ে যেন কোন গণ্ডগোল না হয় এমনটাই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং, মাসিক বেতন কম হলেও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও বেকারত্ব হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে রাজ্য সরকার।