Skip to content

জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন,কিন্তু অনেকেই জানতেন না সন্দীপের ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে এমনকি তার বাবাও।

১০ বছর হতে চলল সেই মর্মান্তিক ঘটনা পেরিয়ে যাওয়া। তবুও দেশবাসী আজও ভুলতে পারেনি। ২৬ শে নভেম্বর এই দিনটিতেই মুম্বাই নগর মৃত্যুর নগরে পরিনত হয়েছিল। সারা শহর জুড়ে চলেছিল জঙ্গিদের টান এখানে তারা থেমে থাকেনি,ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজ হোটেল, নরিম্যান হাউস, ইত্যাদি জায়গায় হানা দেয় জঙ্গিরা। আজ এক দশক হলেও এই ক্ষত বুকের মধ্যে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশবাসী।৪ দিনগুলি বাজি হওয়ার পর শেষমেশ দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের জয় হয়। এসএসজি কমান্ডো সহ দেশের ১৬৩ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। যেখানে তুরাকাম ওম্বলে , হেমন্ত কারকারে, অশোক কামতেদের মতো বীর পুলিশ কর্মীরা শহীদ হয় শুধু তাই নয় এর সাথে এসএসজি কমান্ডো ” সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন ” শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে তার মুখে একটিই কথা শোনা গেছিল,”কেউ উপরে উঠে এসো না , আমি একা হাতে সামলে নেবো “।

কামান্ডার সন্দীপ ১০ জনের এক টিমকে নিয়ে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে হোটেলে প্রবেশ করেন । তারপর তিনি পাঁচ তলায় উঠে যান এবং সেখানে এক কামরায় কিছু জন মহিলা কে আটক করা হয়েছিল, তাদেরকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে তিনি অভিযান চালান এবং সেখানে তার প্রিয় বন্ধু সুনিল শহীদ হয়ে যান । তার ডান হাতে গুলি লাগে, তাও তিনি একটাই কথা বলে গেছেন, “তোমরা কেউ উপরে উঠে এসো না, আমি একা হাতে সামলে নেবো “।এসএসজি কমান্ডার সন্দীপ এর কাহিনী আজও এসএসজি কমান্ডারের দপ্তরে অনেকের মুখেই শোনা যায়। কিন্তু হয়তো তার ব্যক্তিত্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু কেউ জানতেন না।

এমনকি সন্দ্বীপের বাবা ছিলেন প্রাক্তন কমান্ডো অফিসার। তিনি বলেন, “আমি একদিন সন্দ্বীপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখে হতবাক হয়ে যায় মাত্র চার হাজার টাকা পড়েছিল তার ব্যাংকে। রোজগার তেমন মন্দ ছিল না তা এতো কম টাকা কি করে” ? পরে ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারলাম ,সে নাকি যখনই কেউ বিপদে পড়তো বাড়িয়ে দিত সাহায্যের হাত এবং তার বন্ধুর মা একবার হসপিটালে ভর্তি ছিল, সে তাকে এক মোটা অংকের টাকা দিয়ে দেয়। এমনটাই দয়ালু ব্যক্তিত্ব ছিলো সন্দীপ।

২৮ শে নভেম্বর সন্দীপ মাটিতে লুটিয়ে গেল তার দেহ, এই স্মৃতি কখনো ভুলবে না ভারতবাসী। এমনটাই ব্যক্তিত্ব ছিলো সন্দীপ যে তার জন্য আজও তার বাবা গর্ববোধ করেন। তার বক্তব্য, “সন্দীপ কখনো হার মানতে শিখেনি, সব সময় জয়ের লক্ষ্য ছিল তার “।

আশা করি বন্ধুরা পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।