যেভাবে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন আর এবার এই তৃতীয় দফার লকডাউনটি চলবে আগামী 17 ই মে পর্যন্ত। তাই আবার ও 17 ই মে পর্যন্ত বিশেষ অনুমতি ছাড়া বাস- ট্রেন বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে আর এর পাশাপাশি বন্ধ রাখা হবে সমস্ত স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, সিনেমা হল, সহ সমস্ত রেস্তরা।
গোটা দেশে এই করোনা সংক্রমণের হারকে দেখে দেশকে কতগুলি জোনে ভাগ করা হয়েছে যাদের নাম রাখা হয়েছে রেড জোন, অরেঞ্জ জোন ও গ্ৰীন জোন। যে জায়গা গুলিতে করোনা সংক্রমনের হার বেশি সেই জায়গা গুলির নাম রাখা হয়েছে রেড জোন, আর যে জায়গাগুলোতে করোনা সংক্রমণ একটু কম সেগুলির নাম রাখা হয়েছে অরেঞ্জ জোন, আর যে জায়গা গুলি তে করোনা সংক্রমণ একেবারেই নেই সেই জায়গা গুলির নাম গ্ৰীন জোন। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গতকাল এই জোন গুলিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে তার কথা ঘোষণা করেছেন।যদিও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে ছাড়ের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেটি গতকাল তবে সেটি লাগু করা হবে আগামী 4 মে থেকে। এক্ষেত্রে রেড জোন গুলির জন্য যে কেন্দ্রের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, রেড জোনে সকল যান পরিষেবা অর্থাৎ বাস, ট্যাক্সি, অটো, রিক্সাসহ সকল পরিষেবা বন্ধ থাকবে এর পাশাপাশি বন্ধ থাকবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ পরিষেবাও।
তবে এক্ষেত্রে আর্থিক দিক থেকে কিছু কিছু দিকে ছাড় মিলবে, গ্রামের দিকে শিল্প, নির্মাণ ও চাষের কাজ করা যাবে। তবে যেসকল কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ পালন করতে হবে। এর পাশাপাশি বজায় রাখতে হবে একে অপরের সাথে সামাজিক দূরত্ব। এছাড়া কিছু প্রকল্পের কাজও চলবে। ফুড প্রসেসিং ও ইট ভাটাও খোলা থাকবে। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার ও মিডিয়ার কর্মচারীদের কাজের এক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি 33% কর্মী নিয়ে করতে পারবেন কাজ। অনান্যদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা এক্ষেত্রে রেড জোনে থাকা সকল মানুষকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ছাড় দেওয়া হয়েছে ওষুধের দোকান, ও যারা ডেলিভারির কাজে যুক্ত তাদের অত্যাবশকীয় পণ্য সরাবরাহের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
আর এক্ষেত্রে কেন্দ্রে তরফ থেকে অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে ট্যাক্সি বা ক্যাব চলাচল করতে পারবে তবে তা কেবলমাত্র একজন যাত্রীকে নিয়েই অর্থাৎ চালক ও একজন যাত্রী।
A limited number of activities will remain prohibited across India, irrespective of the zone, including travel by air, rail, metro & inter-State movement by road; running of schools, colleges, & other educational & training/coaching institutions: MHA pic.twitter.com/R6DYKTcs36
— ANI (@ANI) May 1, 2020
গ্রীন জোনে বাস ও ডিপো চলাচল করতে পারবে 50 শতাংশ যাত্রীদের নিয়ে। এর পাশাপাশি গ্রীন জোনে মদ ও পান বিড়ির দোকানেও খোলা রাখা যাবে। তবে এইসব জায়গাগুলোতে একাধিক ভিড় করা যাবে না,তাছাড়া এইসব জায়গাগুলোতে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর কোন ব্যক্তি যদি আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
In Orange Zones, in addition to activities permitted in Red Zone, taxis&cab aggregators will be permitted with 1 driver&1 passenger only: Ministry of Home Affairs on extension of #lockdown for two weeks from May 4 pic.twitter.com/09w8PdzqwD
— ANI (@ANI) May 1, 2020
আর এক্ষেত্রে রেড, গ্রীন ও অরেঞ্জ যে কোনো জোনই হোক না কোনো রাত সাতটা থেকে সকাল সাতটা অবধি অপ্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। আর কোন ব্যক্তি যদি এই আইন অমান্য করে তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনত কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকা তে।