এবার সোনার গয়না কিনতে যাওয়ার সময় কেওয়াইসি অর্থাৎ প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এর মতন নথিপত্র সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। কারণ সোনার দোকান থেকে দু লক্ষ টাকা বা তার অধিক মূল্যের সোনার গয়না কেনার ক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে কেওয়াইসি চাওয়া হতে পারে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন নতুন বছরে 2021 সালের বাজেট অধিবেশনে এই নতুন নিয়ম বাধ্যতামূলক করবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোনা কেনার জন্য নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতার কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্বর্ণ শিল্পের জন্য মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন অ্যাক্ট প্রবর্তন এর পরে কোন সন্দেহজনক লেনদেনের পেলেই সরকারি সংস্থা গুলি তাদের ওপর নজর রাখবে। এবং অসংলগ্ন কিছু তথ্য বা লেনদেনের হদিশ পেলে চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে সোনা ছাড়া যেকোনো ধরনের সম্পদের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি প্রয়োজন হয়। কিন্তু আগামী দিনে সোনার গয়নার ক্ষেত্রে দু’লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের কেনাকাটার জন্য কেওয়াইসি প্রয়োজন হতে পারে সরকার। আসলে সোনাকে মিউচুয়াল ফান্ড, রিয়েল এস্টেট, এর সম পরিমাণ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে সরকার।
করোনার জেরে এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি পার্সোনাল ফিনান্স; এমার্জেন্সি ফান্ড, বিমা কি সুরক্ষা দিতে পারবে?
একটি বিশেষ স্বর্ণ নীতি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই নীতি চালু হলে সোনাকে আর অপ্রকাশিত সম্পদ হিসেবে দাবি করা হবে না। মূল্যবান ধাতু এবং মূল্যবান পাথর ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে, সোনা রুপা প্লাটিনাম, হিরে ও অন্যান্য মূল্যবান পাথরের ব্যবসায়ীদেরও এবার থেকে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
গত 28 ডিসেম্বর সোনা ব্যবসাকে পিএমএল ( PML) এর অধীনে আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ওপর সমস্ত রকমের সন্দেহজনক লেনদেন এবং 10 লক্ষ টাকার ওপরে মাসিক লেনদেন সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। কর্তৃপক্ষ যদি লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা খুঁজে পায় তাহলে সরকারকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে। এই কঠোর নীতি প্রয়োগের অনুমান পাওয়ামাত্রই স্বর্ণকাররা ভাবছেন নতুন বাজেটে সোনার গয়না কেনা বেচায় নতুন নিয়ম আনতে পারে সরকার। যেখানে দু লক্ষ টাকা বা তার অধিক মূল্যের সোনার গয়না কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহককে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে।