আজ আমরা এমন একজন ক্রিকেটারের কথা বলতে চলেছি, যিনি অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়ান কাপে ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন। কঠোর পরিশ্রম এবং ভগবানের আশীর্বাদে তিনি এই পদ পেয়েছিলেন। যশের কাছে সেরা অধিনায়ক হলেন বিরাট কোহলি এবং বিরাট কোহলির পথ অনুসরণ করে তিনি প্রতিনিয়ত ক্রিকেট অভ্যাস করতেন। এখানে বলে রাখি, বিরাট কোহলিও ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন এবং বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারত ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল।
আবার ফিরে আসি যশের কথায়। যশ দিল্লির জনকপুরের বাসিন্দা। মিডিল অর্ডারে ব্যাট করেন এই ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব ১৬ দলে যখন তিনি দিল্লির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি মনে করেন যদি সততার সঙ্গে তিনি নিজের কাজ করেন তাহলে অবশ্যই একদিন ভারতীয় দলে নির্বাচিত হবেন তিনি এবং সেটাই হলো।
যশের বাবা প্রথমে একটি বড় কসমেটিক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কিন্তু জনকপুর থেকে যাতায়াত করতে অনেকটা সময় লেগে যেত অফিসে ফলে ছেলেকে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না , তাই পরবর্তীকালে তিনি পরবর্তীকালে সেই চাকরি ছেড়ে অন্য অফিস জয়েন করেন। পরিবারের খরচ ছাড়াও কম বেতনে সবকিছু সামলেই যশের বাবা সব সময় চেয়েছিলেন ছেলে যাতে সেরা জিনিসটি পায়, আটি সেই কারণে তিনি নিজের ছেলেকে সেরা ইংলিশ উইলো ব্যাট কিনে দিয়েছিলেন।
যশ যখন মাত্র চার বছর, তখন থেকেই পরিবারের সকলে খেয়াল করেন যশের মধ্যে একটি ক্রিকেটার হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির ছাদে অনুশীলন করত যশ এবং অল্প বড় হওয়ার সাথে সাথে তাকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেট অনুশীলন সমিতিতে ভর্তি করিয়ে দেন যশের বাবা-মা। আজ সেই ছোট্ট ছেলেটি বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করছে এবং পরবর্তীকালে অবশ্যই দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে এটাই কামনা করি।