Skip to content

রেলের ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও ন্যারোগেজ লাইনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে চমকে দেবার মতো তথ্য

ভারতীয় রেল আমাদের ভারতবাসীদের লাইফ লাইন বলে মনে করা হয়। কয়েক লক্ষ মানুষ এই রেলের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন প্রত্যেক দিন। শুধুমাত্র মানুষ নয়, একাধিক পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করা হয় ভারতীয় রেলের মাধ্যমে। দেশের মধ্যে চলতে থাকা এই ভারতীয় রেলের কিছু ট্র্যাক বেশ প্রশস্ত থাকে কিছু জায়গায় আবার কিছু জায়গায় থাকে একেবারে সরু। কিন্তু কেন এমন হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশের রেলওয়ে ট্র্যাকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।

রেলওয়ে ট্র্যাক সম্পর্কে জানার আগে জেনে নিতে হবে রেল গেজ মানে কি। রেল গেজ হলো দুটি ট্র্যাকের মধ্যকার উলম্ব দূরত্ব। বিশ্বের রেলপথের প্রায় ৬০ শতাংশ ১৪৩৫ মিমি স্ট্যান্ডার গেজ ব্যবহার করে। ভারতে চার ধরনের রেলগেজ ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল, ব্রডগেজ, মিটারগেজ, ন্যারোগেজ এবং স্ট্যান্ডার গেজ। এবার এগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত একটু আলোচনা করে নেওয়া যাক।

ব্রডগেজ: ব্রডগেজকে ওয়াইড গেজ বা বড় লাইন বলা হয়। এই রেলগেজে দুটি ট্র্যাকের মধ্যে দূরত্ব হলো ১৬৭৬ মিমি। ভারতের প্রথম রেল লাইন তৈরি হয় ১৮৫৩ সালে। সেই সময় পোর বন্দর থেকে থানে পর্যন্ত একটি ব্রডগেজ লাইন তৈরি করা হয়েছিল।

স্ট্যান্ডার্ড গেজ: এই রেলগেট যে দুটি ট্র্যাকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব হলো ১৪৩৫ মিমি। ভারতে এই গেজ ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র মেট্রো, মনোরেল এবং ট্রামের মত শহুরে রেল ট্রানজিট সিস্টেমের জন্য। ২০১০ সাল পর্যন্ত ভারতের একমাত্র স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন ছিল কলকাতা ট্রান্স সিস্টেম। শহুরে এলাকার সমস্ত মেট্রোর লাইন শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড গেজ নিয়মে শুরু হয়েছে। কয়েকটি স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন হল দিল্লি মেট্রো, রেপিড মেট্রো রেল গুড়গাও, ব্যাঙ্গালোর মেট্রো এবং মুম্বাই মেট্রো।

মিটারগেজ: এই ক্ষেত্রে ট্র্যাকের মধ্যেকার দূরত্ব নূন্যতম ১০০০ মিমি হয়। রেলের খরচ কমাতে ব্যবহার করা হয় এই মিটার গেজ লাইন। নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে বাদ দেওয়া হলে প্রকল্পের অধীনে সমস্ত মিটার গেজ লাইন ব্রডগেজে রুপান্তরিত করে দেওয়া হবে।

ন্যারোগেজ: ন্যারো গিজ রেলপথে দুটি ট্র্যাকের মধ্যে দূরত্ব হয় ২ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ২ ফুট। কত ২০১৮ সালে দেশের শেষ ন্যারো গেজ লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধুমাত্র দার্জিলিঙে এই ধরনের ট্র্যাকে ট্রেন চলে।

প্রসঙ্গত, সবথেকে বেশি খরচ হয় ব্রডগেজ এবং স্ট্যান্ডার্ড গেজের লাইন বসাতে। তবে ট্রেনের উচ্চগতির জন্য মিটারগেজ বা ন্যারোগেজ ট্রাকের পরিবর্তে ব্রডগেজ ট্র্যাককে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।