বহু বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্কে জন-ধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দেশের সাধারন মানুষদের বলছে। এরমধ্যে অনেকেই জনধন যোজনাতে অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়েছেন। এজন্য যোজনা অ্যাকাউন্টে যে সরকারের তরফ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে তা প্রমাণ হয়ে গেল এই লকডাউনে। মূলত এই জন-ধন যোজনার অ্যাকাউন্ট গরিব মানুষদের খোলার জন্য বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। করোনাভাইরাস এর জেরে লকডাউন ঘোষণা করতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে।
আর এই লকডাউনের সময় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ে গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের। তাই কেন্দ্রীয় সরকার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পর পর তিন মাস 500 টাকা করে দেওয়া হবে জনধন যোজনার অ্যাকাউন্টে। এছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেনশন স্কিম সমস্ত কিছু পাওয়ার জন্য জন–ধন যোজনায় গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরী। কিন্তু এই জনধন যোজনা সম্পর্কে একটি বড় তথ্য অনেকেই জানেন না। এই জন-ধন অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র বয়স্করা ছাড়াও 10 বছরের উপরে যাদের বয়স তারাও খুলতে পারবে।
তবে এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেগুলি নিচে আলোচনা করা হল। প্রথমে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী জন ধন প্রকল্পের ওয়েবসাইট এ ফর্ম পাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ফর্মটি পেয়ে যাবেন। সেটা না সম্ভব হলেও আপনি ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে ফর্ম নিতে পারবেন। তবে যত দিন না ওই শিশুটির বয়স 18 বছরের উপরে হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টটি অভিভাবকদের সঙ্গে যৌথভাবে থাকতে হবে। এরপর 18 বছর হয়ে গেলে সেটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরিণত হবে কিন্তু পরিচয় পত্র নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে হবে 18 বছর হয়ে গেলে।
এই প্রকল্পটি প্রথম নিয়ে আসা হয় 2014 সালের আগস্ট মাসে। কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশের প্রতিটি মানুষের একটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া। অ্যাকাউন্ট থাকলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনার বীমা দেওয়া হয় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। এছাড়াও জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট গুলিতে আরো বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের। জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা থাকা ছাড়াও 6 মাস লেনদেন করার পর 5000 টাকা পর্যন্ত ওভারড্রাফটরও সুবিধা দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের। এছাড়াও দেওয়া হয় রূপে ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা গুলি।