অত্যন্ত জনপ্রিয় লীগ আইপিএল (IPL) আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের জন্য এই লীগ এতদিন স্থগিত ছিল। তবে বিসিসিআই এর তরফ থেকে এই লীগ ইউএই তে করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই হিসাবে 19 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এ বছরের আইপিএল। আর এই আইপিএল টাইটেল স্পন্সর রয়েছে ভিভো। আর যেমনটা আমরা জানি এটি একটি চাইনিজ কোম্পানি। ভারতের সাথে চীনের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরেছে বর্তমানে। এর আগেও ভারতবাসী চাইনার জিনিসপত্র বয়কট করার জন্য পথে নেমেছিল।
শুধু ভারতবাসী নয় ভারত সরকারও চাইনিজ অ্যাপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আইপিএলের এই টাইটেল স্পন্সর ভিভো থাকার কারণে অনেকেই এর বিরুদ্ধে গেছে।অনেকে অবশ্য এই আন্দাজ করছিল। আর অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। চীনা সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে বিসিসিআই এর উপর চাপ বাড়তে শুরু করলো। এ বিষয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার পরের দিনে আরএসএস এর সহযোগী সংস্থা স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ চীনা সংস্থাগুলির সাথে যে চুক্তি হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করার জন্য দাবি জানায় বিসিসিআই কে।
তাদের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি চীনা সংস্থা গুলির সাথে চুক্তি ছিন্ন না করে তাহলে ভারতীয়রা যেমন চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে তেমনি আইপিএল বয়কট করার ডাক দেবো। এই সংস্থা আরো জানিয়েছে যে, বিসিসিআইয়ের (BCCI) এই সিদ্ধান্ত দেশের আমজনতার ভাবাবেগে আঘাত করছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয়দের অপমান করা হচ্ছে। তাই ভারতীয় বোর্ড যদি এই সিদ্ধান্তে পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে এই টুর্নামেন্টে বয়কট করা উচিত। স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের আরও দাবি যে, যেখানে সারা বিশ্ব চীনা পণ্য বয়কট করছে সেখানে এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের অবশ্যই ভাবা উচিত।
Wither #AatmaNirbharBharatAbhiyan .
Welcome back Cricket-China-profiteering and double standards. #BJPExposed https://t.co/ijR4W7yABC
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) August 2, 2020
ব্যক্তিগতভাবেও আইপিএলের চীনা স্পন্সর নিয়ে অনেকেই মুখ খুলেছেন। এ বিষয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করে বলেন, ‘ আত্মনির্ভর ভারত অভিযান আর রইল না। এটা হল ক্রিকেট-চীন মুনাফাবাদী দ্বিচারিতা।’ এ বিষয়ে ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেন, ‘ যখন দেশের লোক চীনের দ্রব্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন বিসিসিআই আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ভিভো কেই রেখেছে।’ তিনি আরো টুইট করে লিখেন যে,’ বিসিসিআই এবং গভর্নিং কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চীনের স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তি বজায় রাখার। আমার সবথেকে বড় খারাপ লাগছে যে যারা চীনের তৈরি টিভি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল তাদের কথা ভেবে। তারাই হয়তো সবথেকে বোকামির কাজ করেছে।’
Chinese cellphone makers will continue as title sponsors of the IPL while people are told to boycott Chinese products. It’s no wonder China is thumbing it’s nose at us when we are so confused about how to handle Chinese money/investment/sponsorship/advertising.
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) August 2, 2020