কিছুদিন আগেই পদ্মা নদীর বুকে একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে যেখানে উপর দিয়ে চলে যাবে যানবাহন এবং নিচ দিয়ে চলে যাবে রেল। কিন্তু এবার জলের তলা দিয়ে একসঙ্গে যানবাহন এবং রেল চলাচলের ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে। সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে ব্রহ্মপুত্র নদীর নিচে এবার গড়ে উঠবে দেশের প্রথম underwater road rail tunnel. ইতিমধ্যেই এই টানেল তৈরি করার জন্য অসম সরকার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন কেন্দ্রের কাছে। খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্র সরকার অনুমোদন দেবে বলে মনে করছেন অসম সরকার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নগাও এলাকা থেকে এই চ্যানেল শুরু হবে। কালিবর চা বাগান থেকে জামুগুড়ি পর্যন্ত এই টানেল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের নিচে এই টানেল তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। রেল এবং সড়ক দুরকমের টানেল তৈরি করা হবে। কাজ শুরুর আড়াই বছরের মধ্যে এই টানেল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এই টানেল প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রক, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই ট্যানেল তৈরি করবেন। এখানে সমান্তরাল ভাবে তিনটি টানেল তৈরি করা হবে। রেলপথ সড়ক পথ এবং এটি ইমার্জেন্সি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এটি প্রথম রোড কাম রেল টানেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।
এই টানেল তৈরি করা হলে উত্তর আসাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং তাওয়াং- এর সাথে যোগাযোগ আরও বেশি সহজ হবে। দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপাতত প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে সবকিছু ঠিকঠাক দেখে নেবেন কেন্দ্রীয় সরকার। এই টানেল তৈরি করা হবে আধুনিকতম প্রযুক্তি দিয়ে।
টানেল দিয়ে ভারী যানবাহন এবং সেনার ভারি কনভয়ের গাড়ি যাতে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় যাতায়াত করতে পারে সেদিকে নজর দেয়া হবে। অসমের ৫৪ নম্বর এবং ৩৭নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করবে এই টানেল। যতদূর সম্ভব চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এই এলাকার খুব কাছেই রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ এবং চীনের সীমান্ত। প্রায় সময় চীনের সেনারা ভারত ভূখণ্ডে খাঁটি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই টানেল তৈরি করলে যে কোন আপদকালীন সময়ে ভারতীয় সেনারা সহজে পৌঁছে যেতে পারবে চীন সীমান্তে। এই টানেলটি চীনের টানেলের থেকেও অনেক লম্বা হবে।