আমাদের দেশ সহ প্রায় প্রতিটি দেশে জ্বালানির সমস্যা তো লেগে রয়েছে। যদিও পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি দায়ী হল জ্বালানি। যেখানে জ্বালানির ধোঁয়ায় পরিবেশ অতিরিক্ত পরিমাণে দূষিত হয়ে যাচ্ছে , সেখানে গবেষকরা উঠে পড়ে লেগেছেন এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গবেষণা করার চেষ্টায়। এবার সেখানেই জয় হলো ভারতীয় গবেষকদের । যেখানে দিন দিন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে, আর সেখানে আইআইটির কিছু গবেষকরা আবিষ্কার করে ফেলল এক জ্বালানি তৈরি করার বিশেষ পদ্ধতি। যেখানে বলা হচ্ছে এবার থেকে জ্বালানি তৈরি হবে সূর্যের আলো থেকে, যেভাবে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া হয় তার উল্টো প্রক্রিয়ায় তৈরি হবে জ্বালানি। স্টুডেন্ট গবেষকরা জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ায় জল থেকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনকে আলাদা করা হবে এবংতার জন্যে চাই প্রচুর পরিমাণে সূর্য আলোক।
ভারতীয় মুদ্রার মূল্য দিন দিন কমে যাওয়ায় সংকটের মুখে পড়েছেন জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। যেসব জ্বালানি দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয় সেগুলোর মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে, তাতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সরকারও। তাই সরকার এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই গবেষণায় গবেষকদের পুরোপুরি ভাবে সাহায্য মিলবে । গবেষকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ল্যান্থানাইড নামক এক ধরনের অনুঘটকের সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতীয় গবেষকদের কাছ থেকে। তারা জানিয়েছেন এই ল্যান্থানাইড অনুঘটকের কাজ হলো জল থেকে অক্সিজেন কে আলাদা করে বিশুদ্ধ হাইড্রোজেনকে এনে দেওয়ার। যদিও এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় , তবে বর্তমানে গবেষকরা মিথেনের দ্বারাই এই প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করছেন।
অধ্যাপক রাজেশ কুমার শর্মা বক্তব্য, “এই প্রথমবার আমরা এত কম খরচে জ্বালানির আবির্ভাব করতে পেরেছি , ভবিষ্যতে যদি আরো ভালোভাবে এই প্রক্রিয়াকে চালনা করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে জ্বালানি জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা ৩০ শতাংশ কমে যাবে”।
এটিও জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গবেষণার উপর একটু বিশেষ ভাবেই জোর দেওয়া হচ্ছে, এবং তার ফল হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বিগত কয়েক বছর আগে গবেষণার দিক থেকে আমাদের ভারত অনেকটা হলেও পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদীজির প্রচেষ্টাই আবার গবেষণা গুরুত্ব পেতে চলেছে।