Skip to content

ভারতীয় রেলের বড় সাফল্য! গড়ে তুললো বিশ্বরেকর্ড! যার ফলে বাঁচবে কোটি কোটি টাকা…

ইতিমধ্যে , ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ থেকে আসছে এক বিরাট নিউজ এর আপডেট। যেখানে, একটি ডিজেল ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোটামুটি ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা খরচা হয়ে যায়। বারানসি ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কাস সেখানে কম খরচে ইঞ্জিনটি তৈরি করে ফেলল।রাতারাতি তারা ডিজেল ইঞ্জিন কে বদলে করে দিল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। তাও আবার মাত্র ৬৯ দিনে। শুনে আপনিও অবাক হবেন যে এই ইঞ্জিনটি গড়ে তুলতে তাদের খরচা হল একটি ডিজেল ইঞ্জিন এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যত খরচা হয় তার অর্ধেক টাকা।যার নেট ফল কোটি কোটি টাকার সাশ্রয় হবে ভারতীয় রেলের। ভারতীয় রেল ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ এর লক্ষ্য নিয়েছে। সব ডিজেল ইঞ্জিন কে বদল করে করা হবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে যে, এত ডিজেল ইঞ্জিনের কি হবে? সবার প্রশ্ন এখন এটাই , এই সব কি বাতিল করে দেওয়া হবে??


রেল সিদ্ধান্ত নেই যে, সব ডিজেল ইঞ্জিন কে রূপান্তরিত করেই গড়ে তোলা হবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন এবং ৬৯ দিনের মধ্যে তাদের প্রথম ইঞ্জিনের কাজ সমাপ্ত হয়।এবং ৩ই ডিসেম্বর ইঞ্জিনটি পর্যবেক্ষণের জন্য সেটি রেলট্রাকে আনা হয়েছিল।এই ইঞ্জিন রূপান্তরিত করার কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২২ শে ডিসেম্বর সূত্র অনুসারে জানা গেছে কাজ শেষ হয়েছিল ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। তবে আপনাদের বলে রাখা ভালো যে সাধারণত ডিজেল চালিত লোকোমোটিভ এর হর্স পাওয়ার হলো ২৬০০ হর্স পাওয়ার, তবে এই নতুন পদ্ধতিতে যে ইঞ্জিনটি তৈরি করা হয়েছে তার হর্স পাওয়ার হবে ৫০০০ শক্তি সম্পন্ন।

যেখানে একটি ডিজেল ইঞ্জিন এর রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কমবেশি পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা খরচা হয় সেখানে বারানসির ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস এত কম খরচে উন্নত মানের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন তৈরি করে ফেললেন এবং খুবই কম সময়ে সেটি তৈরি ও হয়ে গেল। শুধু তাই নয় রেল কর্তৃপক্ষের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের দরুন বায়ুদূষণও অনেকটা হ্রাস পাবে যেখানে ডিজেলে চালিত ইঞ্জিন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বায়ুতে মিশ্রিত হত তা এখন কিছুটা হলেও কমবে।