Skip to content

সামরিক দিক দিয়ে চীনের থেকে কতটা শক্তিশালী ভারত! জানতে এখনই ক্লিক করুন।

বর্তমানে এশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী দুটি দেশ এখন নিজের সীমান্ত নিয়ে বিতর্কে মধ্যে রয়েছে। হ্যাঁ , আপনারা ঠিক ধরেছেন আমরা কথা বলছি ভারত ও চীনের সীমান্ত নিয়ে।  ১৯৬২ সালের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারত কে চিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আর তার  পরিপেক্ষিতে  ভারত ও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আর এখন দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তি নিয়ে চলছে তমলুক বিতর্ক । যেখানে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে। মোট ২৯৫৫ টি এয়ারক্রাফট রয়েছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফর্সের কাছে।  যার মধ্যে রয়েছে ৩৫২ টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট , ১৩৮৫ টি অ্যাটাক এয়ারক্রাফট , ১২৭১ টি  ফাইটার এয়ারক্রাফট , ৭৮২ টি ট্রান্সফার এয়ারক্রাফট , ২০৬ টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার সহ  ৯১২ টি মোট হেলিকপ্টার রয়েছে।

বিপরীত দিকে ভারতের সামরিক বাহিনীতে রয়েছে, ৬৭৬ টি ফাইটার এয়ারক্রাফট,৩২৩ ট্রেনার এয়ারক্রাফট,৮০৯ টি অ্যাটাক এয়ারক্রাফট,১৬ টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার সহ ৬৬৬ টি মোট হেলিকপ্টার বর্তমান। যদি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটকে বাদ দিয়ে ধরা হয় তাহলে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই চীন-ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে চীনের গ্রাউন্ড সামরিক বাহিনীতে বর্তমান রয়েছে, ৪৭৮৮ টি সাঁজোয়াযুক্ত যুদ্ধযান , ১৬১০ টি স্বয়ংক্রিয় বাহন, ৬৪৫৭ টি যুদ্ধ ট্যাংক  সহ ১১৭০ টি রকেট প্রজেক্টর। তার উল্টা দিকে ভারতের গ্রাউন্ড সামরিক বাহিনীতে রয়েছে, ৬৪০৭ টি সাঁজোয়াযুক্ত যুদ্ধযান, ২৯০ টি স্বয়ংক্রিয় বাহন, ৪৪২৬ টি যুদ্ধ ট্যাংক  সহ ২৯২ টি রকেট প্রজেক্টর । আর হতাশার বিষয় হল, এক্ষেত্রেও চীন ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে ।

এবার জানা যাক চীনের সামুদ্রিক সৈন্য বাহিনীর পরিসংখ্যান, চীনের নেভির কাছে রয়েছে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার , ১১ টি ডেস্ট্রয়ার  ,৫১টি রণতরী, ১৫ টি সাবমেরিন , ২১ টি যুদ্ধজাহাজ  , ১৩৯ টি পেট্রোলক্রাফট সহ ৬ টি ওয়ারফেয়ার শিপ । তবে একমাত্র এয়ারক্রাফটের বিভাগে ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে , তাছাড়া প্রায় সব বিষয়ে ভারতের সামরিক শক্তি চীনের থেকে অনেকটাই কম। তবে ২০১৮ তে মোদি সরকার ভারতের সামরিক বাহিনীকে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলেছে। তবে তা কোন দিক থেকে কতটা আরো বেশী শক্তিশালী হয়েছে তা জানতে পারা যাবে ২০১৯ এ নতুন পরিসংখ্যান আসার পরই। এ বিষয়ে আরো নতুন আপডেটের জন্য চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টালটিতে।