দিন দিন চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে এগোচ্ছে, বারবার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। যেমনটা গতকাল আমরা আবারও জানতে পেরেছি চীন তাদের যে ধোঁকাবাজি করা যে পুরনো স্বভাব সেটিকে এখনো পর্যন্ত বদলায় নি। চীন আবারও ধোঁকাবাজি করে ভারতীয় সেনার একটা দলকে ঘিরে আক্রমণ করে যার দরুন ভারতের 20 জন জওয়ান শহীদ হন, অন্যদিকে ভারতের পাল্টা জবাবে চীনের ও প্রায় 45 জন খতম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে চীনের এই যে ধোঁকা দেওয়ার স্বভাব সেটি আজ না বরাবরই চীন এরকমই করে আসে। তবে এখন প্রশ্ন আগামী দিনে এই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে তা ভেবে চিন্তা প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া জানিয়ে রাখি এই মুহূর্তে ভারত সরকারের তরফ থেকেও সেনার হাত সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ পরিস্থিতি যদি কোনরকম খারাপের দিকে এগাচ্ছে দেখে সেনা, তাহলে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে ভারতীয় সেনাকে দিল্লি থেকে আর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া সূত্রের খবর ভারত সরকার এই মুহূর্তে এমার্জেন্সি পরিস্থিতির জন্য সেনাকে ক্ষমতা প্রদান করেছে।
India has given powers to armed forces to make emergency procurements to stock up its war reserves in the wake of escalating conflict with China along the Line of Actual Control. Fighters, warships moved to forward bases after bloodiest day in Ladakh. 👇 https://t.co/H2uCEX8Zsg
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) June 17, 2020
সরকার স্থিতিকে দুর্বল করতে চাইছে না বলে মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত তিন সেনাকে ইতিমধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে বলেছেন বলেও সূত্রে দাবি। অর্থাৎ সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে এক প্রকার তিন সেনাকে এই মুহূর্তে অ্যাটাকিং মোডে রাখা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি মালাক্কা স্টেট ও ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগর ও চীনের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য নেভি কেও প্রস্তুত থাকতে বলে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর থেকেই,তাছাড়া সেনা কর্মকর্তাদের তরফ থেকে আদেশ দিয়ে যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন সরঞ্জাম কে ইতিমধ্যে ফরোয়ার্ড অবস্থানের সরিয়ে আনা হয়েছে।