সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় 20 জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশজুড়ে। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, ফ্রান্স সহ আরও অন্যান্য দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে সরব হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে সারা বিশ্বে চীনকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছে সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে। ফলে এখন চীন চারিদিক থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ভারত সরকার এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক দিক থেকে এবং সামরিক দিক থেকে চীনকে কোণঠাসা করার জন্য নানান ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মোদী সরকার চীনকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই ভারত আর আগের ভারতের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও ভারত সরকার চীনকে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভারতই হচ্ছে চীনের বিকল্প এবং সমস্ত বিশ্ব ভারতের উপর ভরসা রাখতে পারে।নামিদামি সংস্থাগুলি এখন বুঝতে পেরে গেছে যে ভারত আগের তুলনায় অনেকটা শক্তিশালী। তাই তারাও চাইছে যে এবার ভারতে শিল্প স্থাপন করতে যা ভারতের জন্য সুখবর। ইতিমধ্যে মোদি সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে, কোন ইন্ডাস্ট্রি ভারতে যাতে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ না করেন সেই দিকটা লক্ষ্য রাখতে হবে সকলকে।
সম্প্রতি ভারতে গত 1 সপ্তাহে ভারতে বহু কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। অনেক বড় বড় সংস্থাগুলি বর্তমানে ভারতের উপর ভরসা যুগিয়েছে। বড় বড় শিল্পপতিদের আস্তা ভারতের প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকখানি।মোবাইল চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্যালকম ভারতে বিনিয়োগ করেছে। আমরা এই সংস্থার নাম এর আগে শুনেছি। এর চিপস সেট স্নাপড্রাগন নামে পরিচিত যা মোবাইলের প্রসেসরে লাগানো থাকে। এই সংস্থা ভারতে 730 কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ইতিমধ্যে। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স প্রডাক্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা হিটাচি ভারতে 1.2 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
Investments in India in last 1 week:
$ 10 Bn Google
₹ 1.2 Bn Hitachi
₹ 730 crore Qualcomm
$ 1Bn Foxconn
Tsuzuki investment in Jhajjar
— FrontalAssault (@FrontalAssault1) July 13, 2020
এছাড়াও বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানিগুলি ও ভারতে বিনিয়োগ করেছে ইতিমধ্যে। আরো অনেক কোম্পানি আছে যারা বিনিয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সবথেকে বড় সংস্থা গুগোল ইতিমধ্যেই ভারতে 10 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া খবর পাওয়া গেছে যে, বিশ্বের আরও চারটি বড় বড় সংস্থা এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করবে। আমরা সবাই জানি ইলেকট্রনিক জিনিস প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে চীন সবচেয়ে আগে। চীন সারা বিশ্বজুড়ে অনেক মাত্রায় ইলেকট্রনিক্স জিনিস রপ্তানি করে।
তবে ভারত চীনের জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে তা বোঝা যাচ্ছে। কারণ বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলি ভারতের সাথে হাত মিলিয়েছে। এর ফলে ভারতের যেমন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে তেমনি আবার ভারতে বেকারের সংখ্যা কমবে যেটি এখন ভারতের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত ও চীনের সাথে সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতবাসীকে। এবার এই প্রতিশ্রুতি সত্য হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।