রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন আর মধুসূদন। এই অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে সরাসরি বক্তব্য প্রকাশ করেন তিনি। বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান বেআইনিভাবে কাশ্মীরের বেশ কিছুটা অংশ দখল নিয়ে রেখেছে। পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গোটা জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবৈধভাবে কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে রেখেছে পাকিস্তান যা কোনভাবেই আইন সম্মত নয়।
পাকিস্তানের প্রতিনিধির এই মন্তব্যের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সন্ত্রাসের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিনিধি মুনির আক্রম বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের মদত দিয়ে চলেছে ভারত বর্ষ।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি জানান, নিজের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বর্তমানে ইতিহাস গড়ে তুলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর তা আমরা সকলেই জানি। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক,আজ এই কথা বিশ্বদরবারে স্বীকৃতি।
পাকিস্তানে জঙ্গি সমর্থনের প্রসঙ্গের পাশাপাশি ওই বৈঠকে মুম্বাই হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভারত বর্ষ। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তদের এখনো বিচার হয়নি বরং অভিযুক্তরা পাকিস্তানের দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীর সমস্যার সূত্রপাত হয় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। তৎকালীন রাজা হরি সিং এর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কাশ্মীরের কিছু অংশকে অবৈধভাবে দখল নিয়ে নেয় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান, স্কর্দু উপত্যকার মতো বিভিন্ন এলাকাকে অধিকৃত করে পাকিস্তান। এই নিয়ে বহুবার ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা হলেও ওই অঞ্চল থেকে সেনা অপসারণ করেনি পাকিস্তান। আজও কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হাওয়া গরম হয়ে রয়েছে।