Skip to content

দেখুন বিহারের IIT গ্রাম, প্রতিটি বাড়িতে মিলে একজন করে IIT ইঞ্জিনিয়ার, লোকেরা বলে আইআইটিয়ান গ্রাম

আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভাব নেই। প্রতিদিন কোন না কোন শিশুর মধ্যে নতুন নতুন প্রতিভা জাগ্রত হয়। আমাদের ভারতবর্ষের বেশিরভাগ অংশ গ্রাম, এই গ্রামের মধ্যেও এমন অনেক শিশু রয়েছে যাদের মধ্যে অনেক প্রতিভা রয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র অর্থের অভাবে সেই সমস্ত প্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় না। তবে যাদের মধ্যে নতুন কিছু করার উদ্যোগ থাকে, তারা কোনো রকম বাধা বিপত্তিকে বড় বলে মনে করে না। যে কোন বাধা বিপত্তিকে সহজে পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে তারা।

আজ আপনাকে তেমনই একটি ছোট্ট গ্রামের সঙ্গে পরিচয় করাব, যে গ্রামে এমন দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে, যে সেই গ্রামটিকে বলা হয় আইআইটিইয়ান দের গ্রাম। বিহারের গয়া জেলার পাটুয়া টলি গ্রাম আইআইটির জন্য বিখ্যাত। আসলে এই গ্রামের ছেলেরা গত ২৪ বছর ধরে এমন কিছু করেছে, যা দেশের অন্য কোন গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়না সচরাচর।

প্রতিবছর এই গ্রাম থেকে কয়েক ডজন ছাত্র আইআইটি এবং এনআইটির জন্য নির্বাচিত হয়। এই গ্রাম আগে বিহারের ম্যানচেস্টার নামে পরিচিত ছিল। এই গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে এবং প্রত্যেকটি রাস্তায় পাওয়ারলুম ছিল। আগে এই গ্রামের তাঁত চাদর, গামছা তৈরি করার জন্য বিখ্যাত ছিল, কিন্তু এখন এই গ্রাম আইআইটি ছাত্রদের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে।

গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে একজন করে আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। এই সাফল্যের রহস্য এই গ্রামের সঙ্গে জড়িত। এই গ্রামে এমন একটি লাইব্রেরী রয়েছে যেদিকে নির্মাণ করার জন্য গ্রামের মানুষ প্রতি মুহূর্তে আর্থিকভাবে সহায়তা করে। গ্রামের মানুষের দ্বারা এই লাইব্রেরী পরিচালিত হয়। ১৯৯৬ সালে এই গ্রামে ছেলেমেয়েরা আইআইটিতে ভর্তি হওয়া শুরু করে এবং গ্রামের শিশুদের এই প্রতিভা দেখে এই গ্রামে একটি লাইব্রেরী তৈরি করা হয়।

১৯৯২ সালে জিতেন্দ্র প্রসাদ প্রথম আইআইটি পাস করেছিলেন, তখন থেকে প্রতি বছর কয়েক ডজন ছাত্র আইআইটি পাস করতে শুরু করে। জিতেন্দ্র প্রসাদ ২০০০ সালে আইআইটি পাস করে আমেরিকায় চাকরি পান। এই সাফল্য গ্রামের প্রত্যেকটি ছাত্রদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার একটি তাগিদ তৈরি করে দেয়।

এই গ্রামের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা একত্রে নবপ্রকাশ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে যা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সাহায্য করে। এই গ্রামটি একসময় তাঁতিদের জনসংখ্যার জন্য পরিচিত ছিল কিন্তু আজ এই গ্রামটি আইআইটি শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচিত হয়ে রয়েছে।