গতবছর নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে দেওয়া সবথেকে বড় উপহার ছিল লক্ষী ভান্ডার। লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে বহু গৃহবধূ মাসে হাত খরচা বাবদ পেয়েছিল ৫০০ টাকা। তপশিলি উপজাতি গৃহবধূরা পেয়েছিল মাসিক খরচ বাবদ ১০০ টাকা। তবে এবার লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে অর্থ পেতে গেলে নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, এমনটাই ঘোষণা করেছে সরকার। যদি কারোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
লক্ষী ভান্ডারের পাশাপাশি যে কোনো আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে উপভোক্তার আধার কার্ডের সঙ্গে যোগ করতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। নবান্ন সূত্রে খবর, সঠিক উপভোক্তা যাতে প্রাপ্ত অর্থ সাহায্য পায় সেদিকে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যই।
জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাঁধ সাধলো অমিক্রম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও একবার ১৫ ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। চলবে ১৫ ই মার্চ পর্যন্ত। একইসঙ্গে শুরু হতে চলেছে পাড়ায় সমাধান প্রকল্প। এই প্রকল্প শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং চলবে ১৫ ই মার্চ পর্যন্ত।
রাজ্যের ২৪ দপ্তরের তরফে একগুচ্ছ পরিষেবা পাওয়া যাবে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে। শিবিরের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদি। অধিবেশনে দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধানের জন্য নিদৃষ্ট সময় ভিত্তিক গাইডলাইনও তৈরি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট করা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে সরকার। এর আগে লক্ষ্য করা গেছে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও মহিলারা আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে। এই সমস্যা দূর করতেই এবার লক্ষী ভান্ডার নিজের নামে অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্যসাথী এবং বয়স্ক পেনশনের ক্ষেত্রেও আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতা মূলক করে দেওয়া হচ্ছে।