Skip to content

ট্রেনে যাতায়াত করলে অবশ্যই দেখুন এই পোস্টটি! না হলে পড়তে পারেন বড়ো বিপদে।

যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে বিমানবন্দরের মতন ভারতীয় রেল সিকিউরিটি চেক চালু করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। ভারতীয় রেল লক্ষ্য করেছে বেশ কিছু রেল দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ব উঠে আসছে।এছাড়াও ট্রেনে চুরি ছিনতাই এর ঘটনা তো লেগেই রয়েছে। গোয়েন্দাদের গোপন সূত্রে খবর গোটা দেশে গোপনে জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে আইএস সহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীরা। এই সমস্ত অপরাধ গুলিকে এড়ানোর জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করছে ভারতীয় রেল। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার 10 মিনিট আগে স্টেশন সিল করে দেওয়া কথা ভাবছে ভারতীয় রেল। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের একটু অসুবিধা হতে পারে।

কারণ 10 মিনিট আগে স্টেশন সিল করে দেওয়া হলে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার 10 থেকে 15 মিনিট আগে স্টেশনে ঢুকে যেতে হবে। আসলে রেলের নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী করতেই ট্রেন ছাড়ার 10 মিনিট আগে স্টেশন বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে,ইতিমধ্যে দুটি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছে ভারতীয় রেল। কুম্ভ মেলা উপলক্ষে এলাহাবাদ স্টেশনে এবং কর্নাটকের হুবলি এই দুই স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। আরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার জানিয়েছেন যে,’ প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনের ফাঁকা জায়গা গুলি বিশেষভাবে চেক করা হচ্ছে। যতদূর সম্ভব স্টেশন গুলি তে দেওয়াল তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতীয় রেল। এমনকি স্টেশনের সমস্ত প্রবেশ পথগুলিতে কোলাপসিবল দরজা লাগানো হবে। এই দরজার সামনে সব সময় আরপিএফ থাকবে।


সিকিউরিটি চেকিং তো সবসময়ই চলবে।’ আগামী দিনে ভারতের আরো 202 টি স্টেশনে এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল। তবে রেলের এই সমস্ত পরিকল্পনা কতটা সত্যি হবে সেটাই এখন দেখার। এমনিতেই যে সমস্ত স্টেশন গুলি খুবই ব্যস্ত থাকে সেখানে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এছাড়াও এমন স্টেশন আছে যেগুলিতে প্রায় মিনিটে মিনিটে ট্রেন আসা যাওয়া করে। ঐ সমস্ত স্টেশন গুলিতে এই পদ্ধতি আদৌ চালু করা সম্ভব হবে কিনা সেটা সবারই মনে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে অনেকে মনে করছেন যে এই পদ্ধতি দূরপাল্লার ট্রেন গুলির ক্ষেত্রে চালু করা হতে পারে।

অরুণ কুমার জানিয়েছেন,’ আমরা যে নতুন প্রযুক্তি আনছে তাতে লোকবল কম লাগবে। তিনি আরো বলেন যে এই পদ্ধতির দ্বারা মানুষের খুব একটা অসুবিধা হবে না। কাউকেই বিমানবন্দরের মতন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে করতে হবে না। ট্রেন ছাড়ার 10 থেকে 15 মিনিট আগে স্টেশন পৌঁছালেই হবে।’