টলিউড থেকে বলিউড আমরা সকলেই মিঠুন চক্রবর্তীকে চিনি। এই মিঠুন চক্রবর্তী কিন্তু একদিনে খ্যাতনামা অভিনেতা হয়ে যাননি জীবনের অনেক লড়াই পেরিয়ে আজ তিনি সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। তখন কার মিঠুনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জিতেন্দ্র। একবার মিঠুনকে জিতেন্দ্র বলেছেন যে মিঠুন চক্রবর্তী যদি নায়ক হয়ে উঠতে পারেন তাহলে জিতেন্দ্র নাকি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। সেদিনের সেই যুবকটি কোনো উত্তর দেয়নি। উওর দিয়েছিল তাঁর অভিনয়ের কাজের সফলতা দেখিয়ে।
প্রথম ছবি করেই লাভ করেন জাতীয় পুরস্কার। ১৯৮৬ তে ‘অ্যায়সা পেয়ার কঁহা’,’ জাল’,’স্বর্গ সে সুন্দর’ ছবিতে মিঠুন এবং জিতেন্দ্র কে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গেলেও জিতেন্দ্রর কথায় অপমান বোধ হয়েছিল মিঠুনের। কোনদিনও ভোলেননি সেই অপমানের কথা। ১৯৮২ তে ডিস্কো ড্যান্সার ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় মিঠুনকে। এই ছবির মধ্যে দিয়েই দর্শক মহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এই প্রবীণ অভিনেতা। তোফা’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘মাওয়ালি’র মত একগুচ্ছ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে।
মিঠুনের এই ধরনের কাজ দেখে চমকে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। মিঠুন অনেকগুলি ব্যাপারে জিতেন্দ্রকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। জিতেন্দ্র অভিনয় করা যদি ১০টি সিনেমা মুক্তি পেত সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয়ে মুক্তি পেত প্রায় ১৫ টি সিনেমা। পাঁচ দশক ধরে জিতেন্দ্রর সিনেমার সংখ্যাটা ছিল ২২৪ টি।
সেখানে মিঠুনের সিনেমা ছিল ৩১৫ টি। পুরস্কারের ক্ষেত্রেও মিঠুন চক্রবর্তী টপকে গেছিলেন জিতেন্দ্র কে। জিতেন্দ্র অভিনয় জীবনে একাধিক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তবে শুধু পুরস্কার বা একাধিক ছবি নয় মিঠুন জিতেন্দ্রকে টেক্বা দিয়েছিলো স্টাইলের দিক থেকেও। জিতেন্দ্র শুরু গোঁফ, গলায় মাফলার, সাদা জুতো এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। আর মিঠুনের চুলের স্টাইল এবং ছুঁচালো মুখের জুতো তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করেছিল।