রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষের ও বেশি সিভিক ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত আছে এবার তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।সোমবার থেকে শুরু হওয়া রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে এবার সিভিক ভলেন্টিয়ার জন্য এবার নতুন বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।জানা যাচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে সু-নিশ্চিত করার জন্য এই বিলটিকে আনা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।নতুন এই বিলের মাধ্যমে সিভিক ভলেন্টিয়ার আর্থিক নিরাপত্তার দিকটি তুলে ধরা হবে বলে খবর সূত্রে জানতে পারা যাচ্ছে।
একবার এই বিলটি বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে রাজ্যপালের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটিকে পাঠানো হবে। আর রাজ্যপালের স্বাক্ষর করার পরই এই নতুন বিলটি আইনে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।সিভিক ভলান্টিয়ার বিল 2019 কার্যকর হলে উপকৃত হবেন কর্মরত প্রায় দেড় লক্ষের বেশি পুলিশ কর্মী। খবর সূত্রে যা জানা যাচ্ছে সেখানে বলা হচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিলটিকে আনা হচ্ছে।
2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর বেকার যুবক- যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদটি তৈরি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রথমে এই পদের নাম সিভিক পুলিশ দিয়েছিলেন তবে পরবর্তীকালে কিছু আইনিক কারণে পুলিশ শব্দ টিকে উঠিয়ে নেওয়া হয় পরিবর্তে “ভলেন্টিয়ার” শব্দটি যুক্ত করে দেওয়া হয় এবং নাম হয় “সিভিক ভলেন্টিয়ার”।এরপর প্রথম ধাপেই জঙ্গলমহলে প্রায় দশ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল,যদিও এর নিয়োগ নিয়ে আদালতের কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য সরকার।
তারপর সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের প্রক্রিয়ায় উঠেছিল বড় প্রশ্ন। তবে সে সমস্ত জট কাটিয়ে এবার বিধানসভায় নতুন বিল পাস করাতে চলেছে রাজ্য সরকার। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিরিখে এই বিলটি পাস করাতে খুব বেশি মাথাব্যথা করতে হবেনা রাজ্য সরকারকে।আর একবার এই বিলটি বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে তারপর সোজা চলে যাবে রাজ্যপালের কাছে যেখানে রাজ্যপালের স্বাক্ষরিত করার পরই এই বিলটি আইনে পরিণত হয়ে যাবে।
আর এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হলে দেড় লক্ষের ও বেশি সিভিক ভলেন্টিয়ার উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য দরাজ ঘোষণা করেছিলেন।এছাড়া এক সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছিলেন যে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের এবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার ভিত্তিতে তাদের পারফরম্যান্স রিভিউ করা হবে।আর এইসব এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে তাঁর পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।ইতিমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়াররা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে সংরক্ষণ পান। এবার নয়া বিল কার্যকর হলে আর্থিকভাবে বেশ খানিকটা সুরক্ষিত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।