ভারতের করোনার এর প্রকোপ দেখা দিতেই সারা দেশজুড়ে লকডাউন এর ঘোষণা করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে এই লকডাউনকে শিথিল করা হলে আরো বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণের হার। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। তাই ঐ সমস্ত জায়গা গুলিতে ফের আবার লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এর ফলে মুখ থুবরে পড়েছে গরীব-দুঃস্থ মানুষেরা। একেই লকডাউন এর প্রভাবে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে আছেন তারপর আবার ফের লকডাউন।
নতুন করে আবার এই লকডাউন ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের বহু সমস্যার মুখে ফেলে দিয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর সরকারের এই Lockdown এর থিওরি নিয়ে একজন সবজি বিক্রেতা সমালোচনা করেছেন। এই সবজি বিক্রেতা পুরো ইংরেজিতে সরকারের সমালোচনা করেছেন। ইন্দোরের একটি সবজি বিক্রেতার এই ভিডিওটি এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।আপনাদের জানিয়ে দিই, এই সবজি বিক্রেতা হল একজন মহিলা। লকডাউন এর ফলে তিনি সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
শুধু ইংরেজি বলার নয় তার কাছে পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে। এত শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। তাই এই দুঃসময়ে সংসার এর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু এখানেও তাকে বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে তার সবজির গাড়িটিকে তুলে নিতে বলা হয়। এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা জানিয়েছেন যে, এমনিতেই এখন কোরোনার জন্য বাজারে একদমই ভিড় নেই। এমনকি তার দোকানের সামনেও লোকজনের ভিড় নেই। এমনকি তার দোকানে যারাই সবজি কিনতে আসেন সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবজি কেনেন।
In Indore a vegetable vendor Raisa Ansari protested against the municipal authorities when they came to remove the handcarts of vegetables.The woman later claimed that she has done Phd in Materials Science from DAVV Indore. @ndtvindia @ndtv @GargiRawat #lockdown #COVID19 pic.twitter.com/RieGffTMyP
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) July 23, 2020
তবুও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাকে সবজির গাড়ির তুলে নিতে। আর এমনটা হলে তিনি কীভাবে সংসার চালাবেন।আর এই সমস্ত কিছু ওই ভিডিওতে তিনি বলছেন পুরো ইংরেজিতে। আর এতেই অবাক সবাই। এরপর ওই মহিলা নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স অফ সাইন্স করেছেন।এরপর 2011 সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করেছেন তিনি। এর পরও এখনো পর্যন্ত চাকরি পাননি তিনি। এই সবজি বিক্রেতা আরও জানিয়েছেন যে, ” বেসরকারি চাকরি করতে চান না তিনি। কিন্তু সরকারি চাকরি আমাকে কে দেবে।
ওই সবজি বিক্রেতার নাম হল রায়সা আনসারি। তার দাবী এবার প্রশাসন বলে দিক আমি কোথায় যাবো, কী করবো বা কীভাবে সংসার চালাবো।”