বর্তমানে আমাদের সমাজে এমন একটা পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ খুব বেশি সেল্ফি তে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। যখন সাধারণ মানুষ বাইরে কোথাও ঘুরতে যান তখন সুন্দর পরিবেশ দেখে তারা সবার প্রথমে নিয়ে নেন একটা সেল্ফি। সেলফির মাধ্যমে তারা নিজেদের এই সুন্দর মুহূর্ত টিকে ধরে রাখেন। তবে সে সব কিন্তু ভালো কিন্তু এখনকার দিনে মানুষের মধ্যে যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে যে মানুষ শুধুমাত্র সুন্দর জায়গা নয় বরং স্কুল কলেজ এমনকি অনেক সময় দেখা যায় রাস্তা-ঘাটে সেল্ফি নিতে পিছুপা হন না, এর ফলে দিকে দিকে বিপদ ক্রমশ বাড়ছে অনেক সময় মানুষের প্রাণ পর্যন্ত চলে গিয়েছে এই সেল্ফি নিতে গিয়ে।
কিন্তু সব সময় যে এই সেল্ফি নেওয়া টা খারাপ সেটা নয় অনেক সময় এই সেল্ফি অনেক ভালো কাজও ব্যবহৃত হয়ে যায়। আজ এমনই একটি ঘটনা কথা আপনাদের বলতে চলেছি ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকা দেশ।আমেরিকায় এক যুবক দোষ না করেও পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি নিজেকে ছাড়ানোর জন্য সঠিক কোন প্রমাণ দিতে পারছিলেন না। সেই সময় একটা সেলফি প্রমাণস্বরূপ আদালতে পেশ করে উনি জেল খাটার হাত থেকে রক্ষা পান।এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার এক স্কুলে, সেই স্কুলের এক ছাত্রী আমেরিকার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তার বয়ফ্রেন্ড তাকে গত এক সপ্তাহ ধরে ডিস্টার্ব করছেন এবং সে তার বয়ফ্রেন্ড কে পাত্তা না দেওয়ার ফলে তারা বয়ফ্রেন্ড তাকে ছুরির আঘাত করেছে এবং খুব জখম করেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁকে ৯৯ বছরের জেল হেফাজত দেওয়া হয় এবং সেই সাথে করা হয় অনেক টাকা জরিমানা। কিন্তু সেই ছেলেটি যখন জানতে পারেন যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তখন তিনি পুলিশকে বলেন যে আমার ওই মেয়েটির সাথে গত এক বছর দেখা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সেই কথা বিশ্বাস করতে নারাজ অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে ছেলেটি যে এই কিছুদিন আগে ঘুরতে গিয়েছিল অর্থাৎ যে সময় তার নামে অভিযোগ করা হয়েছে সেই সময় সেই ছেলেটি এলাকায় ছিল না সে ঘুরতে গিয়েছিল ঘুরতে যাওয়ার একটা সেল্ফি আদালতে পেশ করেন এবং তার ফলে প্রমাণ হয়ে যায় যে ছেলেটি সেই সময় এলাকায় ছিল না বরং সে ছিল বাইরে কোথাও।আদালত সেই সেল্ফি প্রমাণটি গ্রহণ করেন এবং সে সেল্ফি দেখে এই সিদ্ধান্তে আসেন যে সেই ছেলেটি সেই সময় সে এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না এর ফলে ছেলেটি জেল খাটার হাত থেকে এবং জরিমানা হাত থেকে রক্ষা পায়।
#অগ্নিপুত্র