সাধারণ মানুষের একটি খারাপ অভ্যাস হলো যে, তারা যে কোনো রটানো কোথায় বিশ্বাস করে ফেলে। যদিও এটাতে আমাদের কোনো দোষ থাকেনা আমরা যেটাই দেখি সেটাতে বিশ্বাস করে নিই। এমনটা একই ঘটনা ঘটেছে সানি লিওনের সাথে।আমরা সাধারণত তাকে পর্ন জগৎ ও বলিউড জগতে দেখেছি এবং সেটা দেখে আমরা তার নিয়ে এক আলাদা ভাবনাচিন্তা তৈরি করেছি, কিন্তু সত্যিকারের তিনি তেমন নন। আপনার তো সে কথাটা শুনেছেন, “যেটা বাইরে থেকে দেখা যায় আসলে সেটা সত্য নয়”, সানি লিওনের ঘটনাটাও ঠিক তেমনি।
একদিন সানি লিওন তার বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় প্রথমবার ড্যানিয়েল ওয়েবার এর সাথে আলাপ করেন তারপর থেকে সানি লিওনের জীবন পুরোটাই বদলে যায়। কি করে বদলে গেল তার এই জীবন ? এই বিষয়ে থাকবে আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় ।সানি লিওন এবং ড্যানিয়েল ওয়েবারের প্রথম সাক্ষাৎ একটা রেস্টুরেন্টে হয়। আর সে সময় ড্যানিয়েল সানি লিওনকে প্রথমবার দেখে তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকেন। এরপর থেকে ওই রেস্টুরেন্টে সানি লিওন যত বার আসতেন তাকে একটি করে তার নাম লিখিত ফুলের তোড়া দিতেন তিনি। এই ফুলের তোড়া গোপন ভাবে দিতেন ড্যানিয়েল।
আপনারা জানলে অবাক হবেন, সানিলিওনের মায়ের মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পর সানি লিওন অনেক একা হয়ে পড়েন তার পাশে কেউ দাঁড়ানোর মত ছিল না, তখন একমাত্র ড্যানিয়েল তাকে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সানি সে মুহূর্তে ঠিক করে ফেলেন ড্যানিয়েল এর থেকে ভালো জীবনসঙ্গী তিনি আর পাবেন না।
সানি লিওন এর বক্তব্য,” আমরা আজ তিন বছর ধরে একে অপরকে ভালোবাসি কিন্তু তার মধ্যে একবারও আমাদের অনুভুতি হয়নি যে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি না, আমি পর্নস্টার তবুও ড্যানিয়েল নিজের জীবনসঙ্গী আমাকে করতে কখনও এক বিন্দুও আপত্তি জানায় নি । একটা এমনি মেয়ে যতটা সম্মান পায় ড্যানিয়েল আমাকে ঠিক ততটাই সম্মান দিয়েছে”।তিন বছর ধরে প্রেমের পর তারা একে অপরকে বিয়ে করেন ফেলেন। তাদের বিয়ে হওয়া আজ ৯ বছর হয়ে গেল তবে তাদের মধ্যে ভালোবাসার একফোঁটাও কম হয়নি।