আমরা আমাদের জীবনে এমন কিছু কিছু ঘটনার সম্মুখিন হই যখন নিদারুণ অপমানের যোগ্য জবাব দেওয়া খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আমাদের কাছে। কথাতেই আছে, don’t judge the book by its cover. কিন্তু অনেক সময় আমরা এই ভুলটাই করে বসি। বেশিরভাগ সময় আমরা মানুষকে তাঁর পোশাক-আশাক এবং কথাবাত্রা দিয়ে বিচার করে ফেলি। একজন মানুষ ধনী অথবা গরিব যাই হোক না কেন, সেই মানুষটিকে তাঁর অর্থ দিয়ে বিচার করা কখনই উচিত নয়। কিন্তু সম্প্রতি কর্নাটকের তুমকুর এলাকা থেকে শুনতে পাওয়া গেছে এমন একটি ঘটনা, যা শুনলে সকলে অবাক হয়ে যাবে।
তুমকুরের এক কৃষক তাঁর স্বপ্নের গাড়ি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল বহুদিন ধরেই। এই ইচ্ছা মনে নিয়েই তিনি পৌঁছে যান শোরুমে। শোরুম সেলসম্যান কৃষকের পোশাক এবং শারীরিক ভাষা দেখে তাঁকে হেয় করতে শুরু করে দেন। কৃষকের পোশাক নিয়ে সেখানে ঠাট্টা শুরু করে দেন সকলে।এমনকি অপমান করে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেই সেই কৃষক এমন একটি কাজ করে বসলেন যা দেখে সকলে অবাক হয়ে যায়।
এই কৃষকের নাম চিক্কাসন্দ্র।তিনি বন্ধুদের সঙ্গে মহেন্দ্রা কোম্পানির একটি শো রুমে পৌঁছে যান গাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে। দু লক্ষ টাকা দিয়ে ডাউন পেমেন্ট দিয়ে গাড়ি কেনার কথা বলেন সেই কৃষক। কিন্তু সেলসম্যান তাঁকে দেখে ভীষণ ভাবে হেয় করেন এবং শোরুম থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, কৃষককে নগদ দশ লক্ষ টাকা আনার কথা বলেন সেলসম্যান। একথা শুনে উপস্থিত অন্য ব্যক্তিরা বলে ওঠে,১০ লক্ষ-টাকা দূরের কথা এই কৃষকের পকেটে ১০ টাকাও থাকবে না।
Mahindra Car showroom salesman taunted a farmer aftr seeing his attire when he visited showroom to buy Bolero Pik-up. Farmer Kempegowda alleged field officer of showroom made fun of farmer & his attire, told him tat car is not worth 10 rupees for him to buy. @anandmahindra pic.twitter.com/9fXbc5naY7
— Sagay Raj P || ಸಗಾಯ್ ರಾಜ್ ಪಿ (@sagayrajp) January 23, 2022
এত অপমান সহ্য না করতে পেরে ওই কৃষক সঙ্গে সঙ্গে শোরুম থেকে বেরিয়ে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০ লক্ষ টাকার নগদ নিয়ে এসে গাড়ি বুকিং করার কথা বলেন ওই সেলসম্যানকে। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা দেখে সকলে রীতিমত অবাক হয়ে যান এবং একই সঙ্গে লজ্জাবোধ করেন নিজের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, সেলস টিম যখন কেম্পেগৌড়াকে বলে যে, গাড়ি ডেলিভারির জন্য কমপক্ষে ২ বা ৩ দিন প্রয়োজন হবে কারণ শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকার কারণে গাড়ি ডেলিভারি হবে না, একথা শুনে ভীষণ ভাবে রেগে যান ওই কৃষক এবং তাঁর বন্ধুরা।
কেম্পেগৌরা বলেন, “আমি একজন কাস্টমার এবং আমাকে এবং আমার বন্ধুদের অপমান করার জন্য এই শোরুমের প্রত্যেক ব্যক্তিকে আমাকে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি এখন আর এই গাড়ি চাইনা। কিন্তু ক্ষমা না চাইলে আমি এই শো রুমের বাইরে পিকেটিং করতে শুরু করে দেবো”।
ঘটনাটি উপস্থিত কোন ব্যক্তি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে।