তিতলি নামক প্রকোপের হাত থেকে ঠিকঠাক মুক্তি পাওয়া গেল না এরই মধ্যে 14 অক্টোবর কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানালো তিতলির পেছনে রয়েছে আরও দশটি ঘূর্ণিঝড়। এই দশটি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কেন্দ্রে আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা ইতিমধ্যে জারি করেছে। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উৎপন্ন তিতলি এবং লুবন আছড়ে পড়েছিল উপকূলীয় অঞ্চল গুলিতে। এগুলিই পরে আস্তে আস্তে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এরই মধ্যে আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা দিল আরও দশটি ঝড় সম্পর্ক।
এদিকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ অঞ্চলে তিতলি তার তান্ডব হয়েছে এর ফলে নিম্নচাপে ভুগিয়েছে বাংলা। শুক্র ও শনিবার তিতলি তাণ্ডব চালিয়েছে মেদিনীপুর ও ঝারগ্রাম অঞ্চলে। অপরদিকে লুপ অন বঙ্গপসাগর উপকূলীয় অঞ্চল গুলিতে চালিয়েছে তাণ্ডব।
হিন্দি আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগাম সূচনা দেয়া হয়েছে এই বছরই আরও দশটি ঘূর্ণিঝড় তদা নিম্নচাপ হানা দেবে উপকূলীয় অঞ্চল গুলিতে। এমনকি বাংলাদেশ মায়ানমার সহ লাগোয়া সমস্ত অঞ্চল গুলি তো দেখা যাবে নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণি ঝড়ের প্রকোপ। ইতিমধ্যে পাঁচটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে পরবর্তী করে এগুলি ঘূর্ণিঝড় হয়ে হানা দেবে উপকূলীয় অঞ্চলে।
ইতিমধ্যে একটি বিশেষ পদ্ধতি মেনে বিভিন্ন দেশ থেকে এই দশটি ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপের নামকরণ করা হয়েছে এগুলি হল:-
:ঝড়ের নাম: :নামকরণকারী দেশ:
১) গাজা। ১) থাইল্যান্ড
২) পেথাই। ২) শ্রীলংকা
৩) ফানি। ৩) বাংলাদেশ
৪) বায়ু। ৪) ভারত
৫) হিকা। ৫) মালদ্বীপ
৬) ক্যারি। ৬) মায়ানমার
৭) মহা। ৭) ওমান
৮) বুলবুল। ৮) পাকিস্তান
৯) পবন। ৯) থাইল্যান্ড
১০) আমফান। ১০) শ্রীলংকা
তিতলির ক্ষেত্রে নামকরণ করা হয়েছিল পাকিস্তান থেকে।
আবহাওয়া বীদদের মতে ডিসেম্বর অবধি নানা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন উৎপন্ন হতে থাকে মহা সাগরের বুকে কিন্তু এর মধ্যে কোনটি উপকূলীয় এলাকায় বিস্তার হবে এবং প্রভাব ফেলবে সে সম্পর্কে অনুমান করা না বলা একটু কঠিন।যদিও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বলি উপকূলীয় এলাকায় তার প্রভাব ফেললেও বাংলার বুকে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।ইতিমধ্যে তিতলি নামক দানব উপকূলীয় অঞ্চল থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়েছে এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে 35 থেকে 55 কিলোমিটার বেগে হওয়া চলছে ঝড় হচ্ছে এবং পশ্চিমবাংলায় হচ্ছিল হালকা বৃষ্টিপাত এবং নিম্নচাপের প্রভাব ছিল যা এখন প্রায় কেটে গেছে বলেই চলে।