আমাদের দেশের জনসাধারণের সবচেয়ে পছন্দের পরিবহন ব্যবস্থা হল রেল ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষ রেলে যাতায়াত করতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কারণ রেলপথে যাতায়ত করলে অনেক কিছুর সুবিধা থাকে। একদিকে যেমন রেল পথে যাতায়াত করলে খরচ কম হয় তেমনই অনেক আরামদায়ক ও হয়। তাই মানুষের কাছে হোক বা দূরে সবক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য এই রেলকেই বেঁছে নেন। অনেক সময় রেলে ভ্রমণের পথে কিছু অসুবিধার মুখে পড়তে হয় মানুষজন কে। কিন্তু তার পরও মানুষ যেন রেলে ভ্রমণ বন্ধ করতে চান না। কারণ এই ভ্রমণের মজাই আলাদা।কিন্তু আমাদের মধ্যেই এমন অনেক মানুষজন রয়েছেন যারা প্রায় দিনই রেলে যাত্রা করেন। রেলই তাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম কিন্তু তারা জানেন না টার্মিনাল ও জংশনের মধ্যেকার পার্থক্য।
আমাদের দেশের অনেক ট্রেন যাত্রী রয়েছেন। তারা ট্রেনের যাওয়ার সূত্রে কোনো দিন না কোনো দিন নিশ্চিত ভাবে এটা শুনেছেন কানপুর জংশন, মুঘলসরায় জংশন, বা ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনস এইসব শব্দ গুলি। আর এই সমস্ত তথ্যগুলি থেকে আমরা এমন কিছু বিশেষ শব্দ খুঁজে নিয়েছি যেগুলি দিয়ে দেশের যেকোনো ট্রেনযাত্রী খুব সহজেই বুঝে যাবেন টার্মিনাল, স্টেশন এবং জংশনের মধ্যেকার পার্থক্য।দেশের বিশেষ কিছু স্টেশনের নাম এখানে উল্লেখ করলাম।
হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন, পাটনা স্টেশন, কানপুর কেন্দ্রীয়, নিউ দিল্লি স্টেশন, বিজয়ভাডা স্টেশন, কল্যাণ জংশন, এলাহাবাদ জংশন।
সেন্ট্রাল- সেন্ট্রাল কোথাটির অর্থ হল কেন্দ্রীয়। দেশের যেসমস্ত স্টেশন গুলি সবথেকে ব্যস্ততম হয়। অর্থাৎ যে স্টেশন টি এলাকার সমস্ত ছোট ছোট স্টেশন গুলি কে একসূত্রে গেঁথেছে। অর্থাৎ এককথায় বলা যায় ”অভিভাবক স্টেশন।” এই সেন্ট্রাল এর আওতা ভুক্ত স্টেশন গুলি হল মুম্বাই সেন্ট্রাল, কানপুর সেন্ট্রাল, মংগলুর সেন্ট্রাল এবং চেন্নাই সেন্ট্রাল।
টার্মিনাস-
এই টার্মিনাস কথাটি আসে ‘টার্মিনস’ শব্দ থেকে। এটা একটা ল্যাটিন শব্দ। এর বাংলা অর্থ হল সীমানা বা সীমা। রেলওয়েতে এই টার্মিনাল কথাটির একটি অর্থ রয়েছে যার জন্য বিশেষ কিছু রেল স্টেশন কে টার্মিনাল বলে অভিহিত করা হয়। এর অর্থ হল যে সব রেলপথে ট্রেন শুধু একদিক থেকেই প্রবেশ করে সেই সমস্ত রেলওয়ে কে টার্মিনাল বলা হয়। ভারতবর্ষের রেলমাধ্যমে যদি সঠিকভাবে টার্মিনালের উদাহরন দেওয়া হয় তাহলে উদাহরণস্বরূপ লোকমানিয়া তিলক টার্মিনাস রেলওয়ে স্টেশনের কথা উঠে আসে।
জংশন-
সাধারণত জংশন বলা হয়ে থাকে সেই সকল স্টেশন গুলিকে। যেসমস্ত স্টেশন থেকে অনেক গুলি পথে স্টেশন বিভক্ত হয়ে যায়। অর্থাৎ যেখান থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর তার সামনে আলাদা আলাদা ভিন্ন জায়গা রুট থাকে সেই সমস্ত রেলস্টেশন গুলি কে জংশন বলা হয়।
বিশেষ কয়েকটি জংশনের উদাহরণ দেওয়া হল।
বেরেলী, জলন্ধর, লুধিয়ানা, সিতাপুর;
এলাহাবাদ, দামোদর, মুজাফফরপুর;
আবোহার, বোকারো, গুয়াহাটি, নাগপুর;
বাটিন্দা, নতুন কোচ বিহার, রেওয়ারী, সালেম।
#অগ্নিপুত্র