১ এপ্রিল থেকে নতুন ট্যারিফ প্ল্যান কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলি। এর ফলে আগামী দিনে মোবাইলে কথা বলার জন্য বা ইন্টারনেট ব্যবহারের (Data and call charge) জন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ট্যারিফের হার বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি৷ ইনভেস্টমেন্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি (ICRA)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের আয় বাড়ানোর জন্য ফের শুল্ক বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদিও এই দাম কতটা বাড়াবে, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
আইসিআরএ বলেছে, ট্যারিফ বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের ২জি থেকে ৪জিতে উন্নীত করার জন্য প্রতি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে গড় আয় (ARPU) বাড়তে পারে। বছরের মাঝামাঝি মধ্যে এই বর্ধিত মূল্য প্রায় ২২০ টাকা হতে পারে। পরের দু’বছরে এই রাজস্ব ১১ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে উন্নীত করবে। ২০২২ অর্থবছরে অপারেটিং মার্জিন বৃদ্ধি করা হতে পারে প্রায় ৩৮ শতাংশ।
করোনা মহামারি টেলিকম শিল্পে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। ডেটা ব্যবহার বেড়েছে লকডাউনে। এই পরিস্থিতিতে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অনলাইন ক্লাস এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে গ্রাহকদের ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
টেলিকম সংস্থাগুলির মোট অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (AGR) ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ১৫টি টেলিকম সংস্থা ৩০,২৫৪ কোটি টাকা দিয়েছে। তারপরেও বকেয়া রয়েছে এয়ারটেলের প্রায় ২৫,৯৭৬ কোটি, ভোডাফোন আইডিয়ার প্রায় ৫০,৩৯৯ কোটি, টাটা টেলিসার্ভিসেসের প্রায় ১৬,৭৮৯ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ১০ শতাংশ এবং পরের বছরে বাকি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
দু’বছর আগে একবার ট্যারিফ প্ল্যান এর হার বাড়ানো হয়েছিল। সেবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে (Data and call charge) ট্যারিফের হার বৃদ্ধি করা হয়েছিল৷