প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র কাশিতে জাঁকজমক ভাবে পালন করা হচ্ছে প্রবাসী ভারতীয় দিবস। ওখানে উপস্থিত ছিলেন মরিসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার যুগোনাথ, বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ গোবলয়ের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা। মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে নতুন ভারত কে তুলে ধরা। তবে মূল উদ্দেশ্যে না গিয়ে রাজনীতির কথায় শোনা গেল নরেন্দ্র মোদির গলায়।
এদিন বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রবাসীদের কাছে নরেন্দ্র মোদির তুলে ধরেন কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির কথা। নরেন্দ্র মোদী এই প্রসঙ্গে বলতে বলতে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কথা টেনে আনেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নাম না করে রাজীব গান্ধী কে কটাক্ষ করে বলেন, দিল্লি থেকে সমস্ত অনুদানের মাত্র 15 শতাংশ যেত গ্রামে। বাকি 85 শতাংশ মাঝখানে উধাও হয়ে যেত। তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যদি কেউ রোগ ধরতে পারেন তারপরও ওরা 10 থেকে 15 বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু রোগ জানা সত্ত্বেও চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন হয়নি কংগ্রেসের।
কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যে এই পথ অনুসরণ করে চলেননি তা তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন। তিনি দাবি করেন আগে যে 85% উদাও হয়ে যেত, এখন তা সাড়ে চার বছরে পুরো 100% গ্রামবাসীদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে? এই প্রসঙ্গে মোদীর যুক্তির, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, শিক্ষা, কৃষিঋণ, উজ্জ্বল যোজনার মাধ্যমে প্রবাসী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সরাসরি 5 লক্ষ 80 হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে।
মোদির দাবি কংগ্রেস সরকার ও এই স্টেপ নিতে পারত। কিন্তু তাদের শুধরানোর ইচ্ছেই ছিলো না।প্রবাসী ভারতীয় দিবস প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী হাত ধরে শুরু করা হয়। এই কথা স্মরণ করে মোদী বলেন, বিদেশে যেকোন প্রান্তে ভারতবাসীর থাকুক না কেন তারা সেই দেশের রীতিনীতি কে সম্মান জানিয়েছেন। মরিসাস, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড এর নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ভারতীয়দের এই দেশে নেতৃত্ব করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া মোদি এই দিন সাড়ে চার বছরের সাফল্যের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘লোকাল সলিউশন, গ্লোবাল অ্যাপ্লিকেশন এ গোটা দেশ কাজ করছে।’ এরপর মোদী ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ প্রসঙ্গ টেনে বলেন মহাকাশ গবেষণা, আয়ুষ্মান ভারত, স্মার্ট অ্যাপ ইকোসিস্টেম, কৃষি উৎপাদন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কাশীর মানুষদের এদিন অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন ওই মঞ্চে। এদিন মোদি কাশী যে নাম করলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। সবার সামনে এখন একটায় প্রশ্ন যে মোদী কী আবার কাশীর কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন?