লোকসভার নির্বাচনের জন্য কমবেশি সব পার্টি রায় ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে।যেখানে দেশের উন্নতির কাজে মোদি সরকার এগিয়ে চলেছে সেখানে কংগ্রেস মোদি সরকার কে বিদ্রূপ করতে এক পা পিছু হাঁটছে না। যদিও ভোটের আগে কংগ্রেসকে অনেকবার ধাক্কা খেতে হয়েছে, যেমন – ভোটের আগে রাফেল বিতর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মোদীজির তার পক্ষে রায় দেওয়া, ইতিমধ্যে কংগ্রেসে এমন ঝটকা লেগেছে সেটাতে কংগ্রেস পুরোপুরি হিলে গেছে।দেশের ৫ টি রাজ্যে যে বিধানসভার ভোট হয়েছিল তাতে কংগ্রেস জয়লাভ করে ।
মোট তিনটি রাজ্যে নিজের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে । কিন্তু দেশের রাজনীতিবিদরা মনে করেছে যে ,দেশের একটি বড়োঅংশ ইউপিতে কংগ্রেস তার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ নাও হতে পারে আর এর কারণ হচ্ছে, ইউপি এর দুটি বড়ো পার্টি সপা ও বসপা ইউপি থেকে কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দিয়েছে। ইউপিতে কংগ্রেসের জেতার কেবলমাত্র একটি আশা ছিল সেটি হলো কংগ্রেসের একটি জনপ্রিয় নেতা প্রমোদ তিওয়ারি , কিন্তু দুঃখের বিষয় যে এবার তিনি ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে আর অংশ গ্রহণ করবেন না। আপনাদের জানিয়ে দি যে ,কংগ্রেসের অন্যান্য নেতার তুলনায় প্রমোদ তিওয়ারির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।
যখন যখন কংগ্রেসের উপর কোন বিপদ এসেছে তিনি না কেবল জিতিয়েছেন সেইসঙ্গে কংগ্রেসকে একটি নতুন আলোর পথও দেখিয়েছেন। তিনি ১৯৮০ তে প্রতাপ গড়ের রামপুর জেলায় বিধানসভার সিটে বরাবর ৯ বার জয়ী হয়ে সেখানে নিজের সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বরেকর্ড বানিয়েছে। একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে ,২০১৯ এর লোকসভা ভোট নির্বাচনে এবার প্রমোদ তিওয়ারি অংশগ্রহণ করবে না।
প্রমোদ তিওয়ারিকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করা হয়েছে এবং এই সিটে তার কন্যা আরাধনা মিক্ষ’ মেনা ‘ বিধায়ক আর এমন একজন নামকরা ব্যক্তির কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা কংগ্রেসের পক্ষে এটি একটি দুঃসংবাদ । এই কারণটির জন্যও কংগ্রেসকে হারের সম্মুখীন হতে পারে। এই বিষয়ে আপনাদের কি মতামত তা আমাদের অবশ্যই জানান।