Skip to content

বড় খবর :- ভেঙে গেল মমতা ব্যানার্জির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, আবারো বড়সড় ধাক্কা মহাজোটে!

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূলের সঙ্গে কোন জোট নয়। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি হাইকম্যান্ড মেনে নিয়েছেন বলে খবর। তবে লোকসভা নির্বাচনের বা বামেদের সঙ্গে কোনো জোট হবে কিনা সে নিয়ে রয়েছে এখনও ধোঁয়াশা, এই নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি এই বৈঠকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি আজ শনিবার লোকসভা ভোটের রণনীতি তৈরি করার জন্য দিল্লি কংগ্রেসের অফিসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। আর এই বৈঠকে রাজ্য কংগ্রেসের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র এবং কংগ্রেস পরিষদের দলনেতা আব্দুল মান্নান।তবে এই বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বঙ্গ কংগ্রেসের বড় নেতা অধীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। এই বৈঠকে প্রত্যেক রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

আর এই বৈঠকে সৌমেন ও মান্নানের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রণনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। শুধু এই নয় বৈঠক শেষের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমিত্র বলেন আমরা আমাদের দাবির কথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে তুলে ধরেছি তাকে বুঝিয়ে বলেছি কিভাবে রাজ্যে কংগ্রেসের সর্বনাশ ডেকে এনেছে তৃণমূল। তারা আরো বলেন যে এইভাবে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস তৃণমূল জোট হলে দলের ক্ষতি হবে তাও তারা নাকি তুলে ধরেন রাহুল গান্ধীর কাছে তারা। সংবাদ মাধ্যমের এক সাক্ষাৎকার অনুযায়ী জানতে পারে যে দিল্লির হাইকম্যান ও তৃণমূলের সাথে জোট করার কথা অস্বীকার করেছেন। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি আজ রাজ্যের রণনীতি নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে দুই নেতার আলাদা ভাবে যে বৈঠক হয় সেই বৈঠকে তৃণমূল এর সাথে জোট করার কথা অস্বীকার করা হয়। আর এই রাজ্য নেতাদের বক্তব্য শুনেই নাকি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী তৃণমূলের সাথে জোট হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে রাজ্যে বামেদের সাথে কোন প্রকার জোট হবে কিনা সেটি নিয়ে এখন চিন্তায় রয়েছে দুই দল ই। এই দুই দলের এ রাজ্যের জোট হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এর মূল কারণ হল একদিকে কেরলে যেমন একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ তেমন বাংলাভাষী রাজ্য গুলোর মধ্যে ত্রিপুরা তো একে অপরের প্রতিপক্ষ। তবে আপনাদের বলে রাখি ইউপিএ-২ এ সময় কমিউনিস্ট পার্টির সরকার গড়ার জন্য কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। এছাড়াও রাজ্যে বিধানসভা ভোটে দুই দলের মধ্যে জোট হয়েছিল তবে তাতে বিশেষ কিছু লাভ মিলেনি তাদের। আর এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত পর্যালোচনা করছে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস সরকার কমিটি।