এটা প্রথমবার হবে যখন ভারতের তিন প্রকার সেনার একটি সেনার দল আগামী 24 শে জুন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কোয়ারে মার্চ করতে চলেছে। যদিও এর আগে শুধুমাত্র ভারতীয় স্থল সেনা এই প্যারাডে অংশ গ্রহণ করেছিল তবে এবার এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চলেছে ভারতের তিন প্রকার সেনা।এরই সাথে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তবে এই মুহূর্তে যেহেতু দেশজুড়ে করোনার মহামারী সেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে আপাতত অংশ নেবেন না এমনটাই জানতে পারা গেছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ না করলেও ভারতের তরফ থেকে তিন প্রকার সেনাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে এবং নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে। আর এই মুহূর্তে রাশিয়ার সাথে ভারতের গভীর সামরিক সম্পর্ক রাতের চিন্তা বাড়িয়ে দেবে চীনের। তবে বলে রাখি রাশিয়া তাদের প্রতি বছর 9 মে ভিক্টরি ডে-এর প্যারাড টি আয়োজন করে থাকে তবে এই বছর করোনার কারণে তা সময় মতো আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর এই যে প্যারেডটি করা হয় সেটি 1945 সালের হিটলারের জার্মানির আত্মসমর্পণ দিনের কথা মাথায় রেখেই করা হয়।
গতবছর রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ না দিলেও ভারতের তরফ থেকে পাঠানো হচ্ছে জল, স্থল আর বায়ুসেনার 75 থেকে 80 জন বীর জওয়ানদের। যারা আগামী 19 শে জুন মস্কো যাচ্ছে। তবে শুধু ভারতেরই প্রধানমন্ত্রীই নয় রাশিয়ার বিজয় দিবসে 75 তম বার্ষিকী হওয়ার জন্য আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ বিষয়ে কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানতে পারে আছে ভারতের টিম প্যারাডে গ্ৰেট প্যাট্রিওটিক ওয়ারে ভারতীয় সেনার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রদর্শন করবে।
একদিকে যেমন চীনের সাথে রাশিয়ার গভীর সামরিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে অন্যদিকে সেরকম ভারতের সাথে বর্তমানে চীনের সীমান্ত বিরোধ চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে চীন আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরেছে আর ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আগের তুলনায় এখন অনেক খানি বেশি মজবুত হয়েছে।তার পাশাপাশি রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক এখন মজবুত হয়েছে। যার দরুন আমেরিকা মানা করা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া সাথে S-400 মিসাইলের চুক্তি করে। তাই দিন দিন যেভাবে ভারত এবং রাশিয়া সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে, তার জেরে ক্রমশ চাপে পড়ছে চীন।