করোনার প্রথম ঢেউ সামলানোর পর এসেছিল দ্বিতীয় ঢেউ। এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি অনেকটাই সামলানো গেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের পর কী রকম করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পশ্চিমবাংলাতে কম হলেও মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বেশ চিন্তিত। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে 8 দফা ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ 33 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। নির্বাচন কমিশনকে বার বার বলেও ভোটের দফা কমানো যায়নি। তবে এখন সংক্রমণের হার 7 শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ভীষণ উদ্বিগ্ন। বাচ্ছারা এই সময় বেশি সংক্রমিত হতে পারে। বাচ্চাদের পাশাপাশি বাচ্চার মায়েদের নিয়েও তিনি বেশ চিন্তিত। তৃতীয় ঢেউ এর জন্য তিনি দশটি অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির পরামর্শ অনুসারে বুধবার এই কমিটির সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় 12 বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের টিকাকরণের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মায়েদের থেকে বাচ্চাদের যাতে করোনার সংক্রমণ না ছাড়ায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে করোনার টিকা করনে রাজ্য ভালোই কাজ করছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়ও পশ্চিমবঙ্গে করোনার টিকাকরণ বেশি হয়েছে। এদিন তিনি জানিয়েছেন ‘আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি টিকা নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত।’