ছত্রিশগড়ের এমন একটি ঘটনা সামনে এল যেটা শুনে আপনিও ভাবুক হয়ে যাবেন । রাজনন্দ জেলার কালেক্টর ভিম সিং আবাস যোজনা কতদূর এগিয়েছে তা দেখার জন্য যখন গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ি নিরীক্ষণ করছিলেন, তখন সেখানেই তিনি একটি বৃদ্ধ মহিলাকে দেখলেন তার নাম ‘তিলেক বাই কুরেথা’। কালেক্টর বৃদ্ধা মহিলাটির কাছে গিয়ে তার সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলেন , এর উত্তরে বৃদ্ধা জানালেন যে তার বাড়িটি বৃষ্টি পরলে এই বাড়ি থাকার অযোগ্য হয়ে যায়। কালেক্টর সেটি খতিয়ে দেখার জন্য বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখলেন যে , বাড়িটিতে কেবল একটি রুম মাত্র এবং সেটাতেও পুরো অন্ধকার।বাইরে বেরিয়ে এসে কালেক্টর জিজ্ঞেস করলেন আপনি এতো অন্ধকারের মধ্যে কেন থাকেন ? আপনার বাড়িতে কি লাইন দেওয়া হয়নি?
বৃদ্ধা বললেন যে , লাইন তো আছে কিন্তু লাইনের বিল অনেক বেশি আসে যার জন্য আমি লাইন ব্যবহার করিনা। তখন কালেক্টর বলেন যে ‘একটি বাতির ‘ বা ‘একটি লাইট’ এর সুবিধা তো সকলকে দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধা বললেন যে, ‘একটি বাতির’ সুবিধা আমার ছেলে নিয়ে নিয়েছে। এই কথাটি শোনা মাত্র কালেক্টর নগর নিগমকে বৃদ্ধাটির বাড়িতে লাইনের ব্যবস্থা করে দিতে বললেন।এরপর বৃদ্ধা কালেক্টরকে পেনশনের সমস্যা নিয়ে জানালেন। কালেক্টর নগর নিগাম কে জিজ্ঞেস করলেন যে, এনার টাকা তিনি কেন পাচ্ছেন না?
নগর নিগম অধিকারীদের বক্তব্য যে বৃদ্ধাকে প্রথমে স্টেট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল এবং এখন সেটা অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার হয়ে গেছে তাই হয়তো তিনি টাকাটি পাচ্ছেন না এবং সেটি অন্য একাউন্টে চলে এসেছে। এরপর কালেক্টর লাইন এর সমস্যা ঠিক করার পর এবার পেনশনের সমস্যারও তাড়াতাড়ির মধ্যে সমাধান করার নির্দেশ দিলেন।
এরকম সকল ব্যক্তি যারা পেনশন সময় মতো পান না কিংবা যাদের বাড়িতে লাইনের সমস্যা রয়েছে এই সম্বন্ধিত সব কিছু সমাধান তিনি করলেন। এছাড়াও তিলক বাই এর বাড়িতে সার্ভে করার জন্য নগর নিগমদের আদেশও দিলেন।
সুতরাং, বন্ধুরা আজকের নিউজ আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে নিশ্চয়ই জানান । আরো এরকম নতুন নতুন খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব পোর্টালটিতে।