কাঠফাটা রোদ্দুর এবং অসহ্য গরমের মধ্যে আসতে চলেছে কিছুটা শান্তির নিশ্বাস। সাগর উপকূলে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে যার ফলে ইতিমধ্যেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কেরলের নটি জেলায় কমলা সর্তকতা এবং সাতটি জেলায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে যেসব এলাকাতে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেগুলি হলো , এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিসূর, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়েনাদ, কান্নুর এভং কাসারগোড জেলা।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে সিস্টেম লাক্ষা দ্বীপের কাছে ছিল তা কেরলের কাছে এগিয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু অংশে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এখানে আপনাকে জানিয়ে রাখি লাল সতর্কতার কথার অর্থ হল ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ সেমির বেশি বৃষ্টিপাত এবং কমলা সতর্কতার অর্থ হল একদিনের মধ্যে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত।
কেরলের বিভিন্ন অংশ ছাড়াও তামিলনাড়ু, লাক্ষাদ্বীপ, কর্ণাটক সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু এবং উপকূল কর্নাটকে। আগামী দু’দিনের মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পুরোপুরি পৌঁছে যাবে উপকূল অঞ্চলে যার ফলে আগামী সপ্তাহ আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে ঝড়ো হাওয়া যেখানে ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ৬০ কিমি হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একদিকে যেমন বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো এবং সন্নিহিত পূর্ব ভারতের অংশে দক্ষিণ পশ্চিম বায়ু রয়েছে তেমনি অন্যদিকে রাজস্থান থেকে অসম পর্যন্ত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে একটি অক্ষরেখাও অবস্থান করছে। এই অক্ষরেখার ফলে আগামী পাঁচ দিন অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয় এবং হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী চার দিন ঝাড়খন্ড, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এবং উড়িষ্যায় বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।