Skip to content

গতকাল রবিবারে ঘটনাকে ঘিরে 4 জন কলকাতা পুলিশ অধিকারীকের বিরুদ্ধে, দিল্লীতে নালিশ সিবিআইয়ের।

গতকাল হওয়া সিবিআই এর সাথে রাজ্য পুলিশের হওয়া সংঘাত এখন চর্চার অন্তিম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তা শেষমেশ সংঘাতের পারদ সীমা ছাড়িয়ে গেছে । আর আজকেই এই সি.বি.আই তদন্তের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ডিরেক্টর ঋষি শুক্লা। এই দায়িত্ব নেওয়া মাত্রই কলকাতায় আসতে চলেছেন ডিরেক্টর।ভালোভাবে খতিয়ে দেখা ও মনোবল বাড়ানোর জন্য তিনি কলকাতায় এসে প্রথমে নিজাম প্যালেস ও সিজিও কম্প্লেক্স এ গিয়ে রাজ্য এর অফিসারদের সাথে বৈঠকে বসবেন। যদিও গোপন সূত্রে খবর আসছে , সিবিআই তদন্ত কারী টিম রাজীব শুক্লা সহ আরো অন্যান্য কিছু কলকাতা পুলিশেরৎঅফিসার দের নাম সিবিআই ডাইরেক্টর এর কাছে পাঠানো হয়েছে।

শুধু তাই নয় ,এই নামের লিস্ট এ একজন ডিসি, একজন এডিসিপি , দুজন ইন্সপেক্টর সহ আরো কয়েকজন অফিসারের নাম সিবিআই তদন্ত কারী দল নথিভুক্ত করেছে। তদন্তকারী সিপিআই দলের পক্ষ থেকে সিবিআইকে কাজে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। খবর সূত্র, অন্যদিকে কাজে বাধা ও অসহযোগিতার অভিযোগে সিবিআই আজকেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে । সিবিআই সুপ্রিম কোর্টকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব , ডিজিপি ও পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করবে। এছাড়াও চিটফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্ত তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের অফিসারদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট এর কাছে সিপি যেন এই তদন্ততে সাহায্য করে এমনটাই সিবিআই অনুরোধ রাখবে। এখানেই থেমে থাকিনি সিবিআই, রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী কাছেও তারা অভিযোগ জানাবে।

রাজ্যপালের কাছে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছে আজকে সিবিআই তদন্ত কারী দল।আবার আজ সুপ্রিম কোর্ট এর কাছে পাল্টা রাজ্যের দল যেতে চলেছে । তাদের বক্তব্য, স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বাড়িতে সিবিআই হানা দিল ? আর এর জন্যই রাজ্য দ্বারস্থ হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের । গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, তৃণমূল সরকার গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আজ বিশাল আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। প্রথমত সিবিআই তদন্ত কারী দল চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য রাজিব কুমারের বাড়িতে যাই । এবং সেখানে প্রবেশের অনুমতি চাইলে , কলকাতা পুলিশ বাড়িতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। তারপর কিছুক্ষণ সিবিআই এর সাথে পুলিশের তর্কাতর্কি চলে , আর সেই মূহূর্তের শিবির তদন্তকারী দলকে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে মারধোর করে সামনের সেক্সপিয়ার থানায় নিয়ে চলে যায়। মধ্যরাত্রি দিকে সিবিআই তদন্ত কারীদের ছাড়া হয়।

আবার অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর খবর পাওয়া মাত্রই সোজা ঘটনা স্থলে চলে আসেন । সেখানে একটি বৈঠক ছেড়ে তিনি মেট্রো চ্যানেলে গিয়ে ধরনায় বসে যান। আর আজকে তিনি সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছেন সিপির বাড়িতে সিবিআই হানার বিরুদ্ধে।