স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আমলে কিন্তু সে স্বপ্ন সম্ভব হতে চলেছে মোদী সরকারের যুগে। খুব শীঘ্রই মধ্যপ্রদেশে হাবিবগঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন। রেল মন্ত্রি সুরেশ প্রভু নিজে জানিয়েছেন খুব দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন হচ্ছে ওখানে। তিনি খুব খুশি হয়ে বলেন যে দুটি Subway তৈরী হয়ে গেছে এর মধ্যে এবং খুব তাড়াতাড়ি সেই রেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল করবে। যখন ভোপালের কাছে হাবিবগঞ্জ স্টেশন কে যখন নতুন রূপ দেবার প্রস্তাব এসে ছিল তখন রেল মন্ত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই যুগে সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল কাজ ,তবে কমে যায় পরে কাজের গতি।
আবার নতুন করে গতি পায় 2015 সালে সুরেশ প্রভু রেলমন্ত্রীর তে দায়িত্ব আসার পরে লক্ষ্য নিয়েছিলেন 2018 মধ্যে চালু করবেন এই নতুন স্টেশন। যাতে হাবিবগঞ্জ স্টেশনে যাত্রীদের বসার জন্য থাকবে 600 টি আরামদায়ক চেয়ারের ব্যবস্থা ,সাথে থাকবে আধুনিক টয়লেট, পরিশ্রুত জল, রিটেল সপ ও ফাস্টফুড জোন। স্টেশন থাকবে নানা রকম বিনোদনের ব্যবস্থা। গোটা স্টেশনে মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই এর পরিষেবা। শুধু এই রেল স্টেশনই নয় এর সাথে কাজ হতে চলেছে গুজরাটের গান্ধী নগর স্টেশনের ও। নরেন্দ্র মোদি 2017 সালে এ কাজের সূচনা করেন। আশা করা হচ্ছে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে এ কাজ পুরোপুরি ভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে সবার আগে চালু হবে এই ব্যবস্থা হাবিবহঞ্চ স্টেশনের জার্মানির হিডলবাগ স্টেশন এর আদলে তৈরি হয়েছে হাবিবগঞ্জ।
ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এটি প্রথম রেলওয়ে স্টেশন যার পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেয়া হল বেসরকারি সংস্থা বনশল পাত ওয়েজ হাবিবগঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেড এর হাতে। তবে বেসরকারি সংস্থা দায়িত্ব নিলেও ঐ স্টেশনে চলাচল করবে ভারতীয় রেলই স্টেশনের রক্ষাণাবেক্ষণ থেকে পার্কিং, ক্যাটারিং ,ট্রেন পরিষ্কার ইত্যাদি সব এই করবে বেসরকারি সংস্থা ওই সংস্থা কে 45 বছরের জন্য 13 লাখ একর জমি লিজ দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। যেখানে থাকবে হাসপাতাল থেকে হোটেল, কনভেশন সেন্টার সবই বানাতে পারবে বনশল পাত ওয়েজ হাবিবগঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেড। তবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন একে একে আরো স্টেশনে এরকম আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মেলাব রেল কর্তৃপক্ষ।