দাড়িভিটের ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি এখনও চাঞ্চল্যকর ! তিন ছাত্রকে গুলি করে খুন করে দেওয়ার পরও চুপ সেখানকার থানার পুলিশ৷একদিকে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিজেপি RSS এর ওপর ! কিন্তু ঘটনায় ছেলের প্রাণ হারান পরিবারগুলোকে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো সাহায্য বা শান্তনা দেওয়া হয়নি ! এইমুহূর্তে বিজেপির কর্মীরা বিভিন্নভাবে তাদের সাহায্য করেছেন,তাদের কাছে গিয়ে শান্তনা দিয়েছেন ৷ইসলামপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক সবই তৃণমূলের হাতে। কিন্তু দাড়িভিটে এলাকায় 4 গ্রাম সংসদের সদস্য বিজেপির হাতে।
এই এলাকায় তৃণমূলের সাথে প্রতিটি পদের টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি। নিহত রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মন এর বাবাদের নিয়ে দিল্লী গিয়ে গোপনে রাষ্টপতির সাথে দেখা করে দেওয়া তাদের নিয়ে ধর্নায় বসা সমস্ত কাজে সাফল্য লাভ করেছে বিজেপি। শাসক দলের চাপ ফেলতে আগামী 6 অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে নিয়ে বৈঠক করার কথা হয়েছে। জেলা নেতারা বলেছেন দাড়িভিটে হবে তৃণমূলে নন্দীগ্রাম।তৃণমূলের নেতাদের কিছু অংশের দাবি, এই কাণ্ডে পুলিশ দোষী কিনা তা তদন্ত করে ঠিক করা হবে। কিন্তু তার ফলে নিহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছতে বাধা কোথায় ছিল?এবং বহিরাগত তথ্য কে সামনে রেখে প্রশাসন বলতেই পারতে যে পুলিশেরা নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য গুলি চালিয়েছেন।প্রশাসনের উদাহরণ হিসেবে কনস্টেবল পরিমল অধিকারীর ঘটনাটি সামনে রাখা যেত। আবার তৃণমূলের আরেকটি অংশের দাবি পুলিশ দোষী কী নির্দোষ এটা তদন্ত সাপেক্ষে কড়া পদক্ষেপের সঙ্গে বলা যেতে পারত।
এর কোনোটিই তৃণমূল করেনি উল্টে সমস্ত কাজ বিজেপি করেছে বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে এই দুই তরুণের মৃত্যুতে। এমনকি মৃত্যুর পরে কোন নেতা মন্ত্রী মৃতদের বাড়ি যায়নি। পরে যখন নেতা-মন্ত্রীরা মিত্রের বাড়ি যাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতদের পরিবার। মন্ত্রী ও বিধায়ক দের দাবি সেই সময় পরিচিত ছিল সেই সময় আমরা গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যেত তাই তারা আসেননি। মৃতদের পরিবারকে সমস্ত জানিয়েছেন তারা।সোমবার রাতে মৃত দুই তরুণের বাবাদের নিয়ে গিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন সেটা তৃণমূল টের পর্যন্ত পাইনি। তৃণমূলের সভাপতি অমল আচার্য বলেন,’ এই ঘটনাটি নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে। বিজেপি এবং আরএসএস-এর লোক এদের মধ্যে কেউ গুলি চালিয়েছে তৃণমূল নেতারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’ তিনি এও বলেন সব তদন্ত করে দেখা হবে যে দোষী সে নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে।