এ রাজ্যে রথযাত্রার হোক বা না হোক, টার্গেট বদলাবে না বিজেপির। ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে এমনটাই বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 23 টি আসনে জিতবে বিজেপি। অপরদিকে আবার এরাজ্যে 2019 – বিজেপি ফিনিশ এই ডাক উঠেছে। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটির লক্ষ্য এখন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। আগরতলার মাটি থেকে তার মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল সরকারকে হারানোর কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি জানান বাংলার মানুষ বদল চাইছে। তাই এবার পরিবর্তন হবেই।
তিনি এও জানান যে বদল এর মূল কারন হল গেরুয়া দলটি। তিনি আরো বলেন,” লোকসভা নির্বাচনে দেখিয়ে দেবে বাংলার মানুষ বদল চাইছে। আমরা বাংলা থেকে 23 টি আসন পাবোই।” গত তিন রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির হারের পর, বিরোধীরা তাদের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে। ভোটের ফলাফল এরপর বিজেপি নেতৃত্বরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে যে 2018 এর থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। মোদি ম্যাজিক তেমন ভাবে কাজ করেনি। তারপর আবার রাম মন্দির ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শরিকরাও এখন অনেক জায়গায় বেঁকে বসেছে। শুধু এই নয় উত্তরপ্রদেশের জোট বাঁধছে বুয়া-বাবুয়া। তাই 2019 এ বিজেপির ভোটের গড় তেমনটা বাড়বে না। তাই বিজেপির নজর এখন পূর্ব ভারতের দিকে।
আর পূর্ব ভারতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান হল পশ্চিমবঙ্গ। রথের চাকা আটকে যাওয়ার পর আইনি লড়াইতে গিয়ে বিজেপির মুখ পুড়েছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের নজরে এখন একটা জিনিস সেটা হলো 2019 এর লোকসভা ভোট। তাই দলের সমস্ত নেতৃত্ব এবং কর্মীদের নিয়ে তাদের জাগিয়ে তোলার জন্য চলতি মাসেই বিজেপির তরফ থেকে এক সাংগঠনিক বৈঠক করা হবে, এই সভা করবেন অমিত শাহ। এই মাসের 16 তারিখে শিলিগুড়িতে রাজ্য নেতৃত্ব দের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। এরপর কলকাতায় 24 তারিখ সভা করতে পারেন তিনি।
এর কারণেই ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় 23 টি আসন জয়ের কথা বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের শাসক দলকে এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে লোকসভায় তৃণমূলের জেতা এবারে কঠিন। অপরদিকে আবার দিল্লির সিংহাসন থেকে মোদিকে তাড়াবার জন্য জোট বেঁধেছে বিরোধী দলগুলি। তাই প্রত্যাবর্তনের এই যুদ্ধে বাংলায় ‘পরিবর্তনের’ আশা দেখছে বিজেপি। এইসব শুনে বিরোধীরা পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন যে 23 টা আসন জয় এখন মরীচিকা।