পশ্চিমবঙ্গকে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক এই ভাষাতে তৃণমূল নেত্রী কে আক্রমণ করলেন জনতা দল ইউনাইটেড। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন এক মন্তব্য করেছেন জেডিইউ মুখপাত্র অজয় অলোক। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এই দলের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া নিন্দা করেছেন।
বিষয়টি সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে বিহারী বিদ্বেষ নিয়ে সূত্রপাত হয়েছে।
যেমন কি কিছুদিন আগে একটি ভিডিও আপনার দেখে থাকবে যেখানে উত্তর 24 পরগনা জেলার ভাটপাড়ায় বিহারীদের বাইরের লোক বলে উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনকি তাদের রাজ্য ছাড়ার কথা বলেছিলেন তিনি এদিন। আর এরপর থেকে বাংলার মাটিতে তীব্রভাবে বিহারী বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন জেডিইউ নেতা অজয়।
বাংলায় এরকম ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কাঠগড়ায় তুলেছেন অজয় অলোক। তার মতে পশ্চিমবঙ্গে এখন যা পরিস্থিতি চলছে তাই খুব আশঙ্কাজনক। আর এই সব কিছু ঘটছে মুখ্যমন্ত্রীর ভুলের জন্য।তবে এখানেই শেষ নয় তিনি আরো বলেন মমতার নেতৃত্বে আজ পশ্চিমবঙ্গ মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়ে গিয়েছে আর এই পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আগে মোকাবেলা করা উচিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কিছুদিন আগে দলের প্রধান নিতিশ কুমার নিজের জানিয়েছিলেন বিহারের বাইরে এনডিএ জোট এর অধীনে না থাকার কথা।
বিহারের বাইরে একাধিক রাজ্যে তাঁরা একা লড়াই করবে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয় তাদের তরফ থেকে। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু তাই নয় পড়শি রাজ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে ধ্যনবাদও জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে সবর হয়েছে জিডিইউ। তারা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই বক্তব্য পেশ করেছেন দলের মুখপাত্র অজয় অলোক। এই দিন তিনি এই বিষয়ে বলেছেন জানি না কেন মমতা দিদি আমাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তবে এতে ওনার কি লাভ হচ্ছে।
তবে শুধু তাই নয় তিনি এ দিন আরও বলেন মমতা দিদির মনে রাখা উচিত যে তার জামানায় রাজ্য থেকে বিহারীদের তাড়ানো হচ্ছে তবে এক্ষেত্রে বাঙালিরা বাংলা থেকে বিহারীদের তাড়িয়ে দেয়নি। এ কাজ করছে বাংলায় থাকা রোহিঙ্গারা।যারা বাংলায় থেকে বাংলা পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত করে চলছে।লোকসভা ভোটের পর উত্তর 24 পরগনা জেলা সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক হিংসার কারণে অনেক প্রাণ গিয়েছে।আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে রোহিঙ্গারা বলে অনেকে দাবি করেছেন।
আর ঠিক একইভাবে বিহারে শাসক দলের নেতার মুখে শোনা গেল বাংলায় রোহিঙ্গাদের দাপটের অভিযোগ। আর এটা বলা বাহুল্য যে খুব শীঘ্রই জাতীয় রাজনীতিতে এই বিষয়টি গুরুত্ব পেতে চলেছে।