মুখ্যমন্ত্রীর পদে যবে থেকে শপথ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গকে শিল্পের দিক থেকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়া। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি নানান রকম উন্নয়নমূলক কাজ করে গেছেন এবং বর্তমানে করে যাচ্ছেন । বর্তমানে রাজ্য সরকারের শিল্পের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ায় মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি ভবানীপুর উপ নির্বাচনের প্রচার জোরকদমে চলছে। বিরোধী দল বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এই সুর শোনা যাচ্ছিল । তবে এই দিন ভবানীপুরে প্রচারেই এসে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলতে শোনা গেল শিল্পের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়ার কথা। ভবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রচার চালাচ্ছেন এই দিন শুক্রবার ভোটের প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” আমাদের সরকারের এখন মূল উদ্দেশ্য রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো।
এর জন্য প্রয়োজন রাজ্যে কয়লা উত্তোলন। এই প্রক্রিয়া শুরু হলেই বিদ্যুৎ খরচ কমবে। আশা রাখি আগামী ১০০ বছরের মধ্যে রাজ্যের বিদ্যুৎ ঘাটতি হবে না। ” দেউচাপাঁচমি কে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসাবে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই সমস্ত প্রক্রিয়াকরণ সেরে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। এছাড়া রাজ্যের আরো বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। যার ফলে রাজ্যে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে অন্যদিকে শিল্পের উন্নতির ফলে মানুষের সাধারণ জীবনের মান আরো উন্নত হবে।
সম্প্রতি পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলিকন ভ্যালির ধাঁচে রাজ্যের আইটি পার্ক সম্প্রসারণ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এই সমপ্রসারণের জন্য রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী কর্মসংস্থান হবে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেশে যে বিপুল পরিমাণে বেকারত্বের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুটা হলেও মিটবে । এছাড়া ডানকুনি থেকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পর্যন্ত করা হবে ‘ডেডিকেটেড ফেড করিডোর’। এই প্রকল্পের জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে করোনা কালীন পরিস্থিতিতে দেশে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে যেরকম অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবার পরিকল্পনা মাফিক এগোলে এই সংকট কিছুটা হলেও কমবে। দেশে যেভাবে বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে তাতে পরিকল্পনা মাফিক এগোলে বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই কমবে । এর জন্য চাই রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের সম্প্রসারণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিন বলেছেন রাজ্যে স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
এতে যেমন একদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট মিটবে অন্যদিকে বেকারত্বের সমস্যা ও মিটবে । মৎস্য চাষ , পোল্ট্রি ফার্ম এর মত স্বল্প পুঁজির শিল্পে বিনিয়োগ করতে হবে । এছাড়া আমাদের দেশে প্রায় প্রতিদিন ৮০ লক্ষ ডিমের চাহিদা রয়েছে সুতরাং এই শিল্পে বিনিয়োগ করলে যথেষ্ট লাভের আশা রয়েছে।প্রসঙ্গত সামনের উপনির্বাচনে অত্যন্ত ব্যাস্ত মুখ্যমন্ত্রী। এই আসনে জয়ী না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে বিচ্যুত হতে পারেন।
তাই জোর কদমে তাঁর পুরো দল প্রচার চালাচ্ছে। একদিকে প্রচারের চাপ থাকা সত্ত্বেও তিনি পশ্চিমবঙ্গ কে শিল্পের দিক থেকে এক নম্বরে দেখতে চান ।এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার এক কোম্পানির সাথে সার্ভে করে বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পে চাহিদা রয়েছে। রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামোর বিনিয়োগ খুবই ভালো। শিল্প উন্নয়নের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্বের একমাত্র এক নম্বর শিল্পক্ষেত্র হয়ে উঠবে।